reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৭ নভেম্বর, ২০১৮

কুবিতে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য

প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সংকট দূরীভূত হবে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পৃথক দুটি মতবিনিময় সভা ২৯ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপাচার্যসহ সব শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সদ্য বরাদ্দপ্রাপ্ত অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটির বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া প্রকল্প নিয়ে সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর করার ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষে বেলা ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পৃথক আরেকটি মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রকল্পটির বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, পাসকৃত প্রকল্পলটি বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংকট দূরীভূত হবে এবং সব ধরনের প্রয়োজন মেটানো সম্ভবপর হবে। উপাচার্য আরো বলেন, ‘প্রকল্প নিয়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে। তবে আমরা সতর্ক আছি। ষড়যন্ত্রকারীরা সংখ্যায় অল্প। আমরাও প্রকল্পটির বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ আছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের মতবিনিময় সভায় প্রকল্পটি নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূরীকরণে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি প্রকল্প নিয়ে যেসব ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান, শুরুতে বর্তমান ক্যাম্পাসের লাগোয়া জায়গাতেই ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান ক্যাম্পাস লাগোয়া জায়গা থেকে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হতো। কিন্তু বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে মাত্র ৫০৯ কোটি টাকায় ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

তা ছাড়া বর্তমানে যে ৫০ একর ভূমি রয়েছে, সেটিকে কেন্দ্র করে ভূমি অধিগ্রহণ করে নতুন করে একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই ভূমি অধিগ্রহণ এলাকায় বসতি থাকলে সে জায়গার অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয়, অনেক ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ করা যায় না। তাই জটিলতা এড়াতে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরত্বে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের অত্যন্তু পরিষ্কার করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হবে না।

সভায় আরো বক্তব্য দেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন জি এম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সবার স্বার্থে উন্নয়ন প্রকল্পটির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীদার লাভবান হবেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। তারা সব ধরনের বিভ্রান্তি পরিহার করে সব অংশীদারকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিনাত আমান, কর্মচারী সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ। গত ২৩ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১তম সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close