reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সেমিনারে বক্তারা

টেকসই উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের উদ্যোগে ‘ফরেস্ট্রি’ ও ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বের ওপর জড়ষব ড়ভ Role of Forestry and Environmental Science Education and Research in Attaining the SDGs : Way Forward শীর্ষক একটি সেমিনার ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সেমিনার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ওই ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. দানেশ মিয়া। পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. জরিন আখতার। মন্ত্রী তার ভাষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সেমিনার আয়োজকবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর সফল বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টিতে শিক্ষক-গবেষকদের নিরন্তন গবেষণার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে বিবেক প্রসূত হতে হবে। মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও বলিষ্ট নেতৃত্বে একসময়কার তলাবিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে তথা দেশে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ উৎপাদনে অভূতপূর্ব আর্থিক এবং কারিগরী সুযোগ-সুবিধা যথাসম্ভব অবারিত করেছেন। মেধাবী শিক্ষার্থীবৃন্দ এসব সুযোগ-সুবিধা সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে মানবসম্পদে রূপান্তরিত হবে এটাই প্রত্যাশিত। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে সারা বিশ্ববাসী আজ আতঙ্কিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, পরিকল্পিত বনায়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় আমাদের শিক্ষক-গবেষকদের সুচিন্তিত সুপারিশমালা মানবকল্যাণে তথা একটি সবুজ পৃথিবী গড়তে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখবে মাননীয় মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের সেমিনারের সার্বিক সাফল্য কামনা করে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উপাচার্য তার ভাষণে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেমিনার আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এ সেমিনারে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করায় মন্ত্রীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য-গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং একই গতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণায় সাফল্যের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, বাংলাদেশ যেমন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে, তেমনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও আনন্দের।

পাচার্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষক-গবেষকদের নিরন্তন গবেষণা-প্রকাশনা কর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোবাবিলায় সংশ্লিষ্ট বন-গবেষকদের জনকল্যাণমুখী টেকসই গবেষণা ও দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। সেমিনারে টেকনিক্যাল সেসনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close