গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবন মিলনায়তনে ১৫ জুলাই রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে হতে হবে মুক্ত চিন্তার ধারক ও বাহক। কিন্তু বর্তমান সময়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়মের সামান্য ব্যত্যয় ঘটলে শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসে অনুশাসনের খড়গ। শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দিতে হবে, তাহলেই তাদের কাছ থেকে আমরা নতুন কিছু পাব। মুক্তচিন্তার ধারক ও বাহক হয়ে শিক্ষার্থীদের গণমুখী শিক্ষা দিতে অন্য অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগিয়ে বলে গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের মূলবক্তা দৃক, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহীদুল আলম বলেন, রোগীদের কাছ থেকে বেশি পরিমান ফি আদায় করে আর উন্নতমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে চিকিৎসা দিলেই একজন ভালো চিকিৎসক হওয়া যায় না। তেমনি দামি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললেই তা ভালো ছবি হবে, তা বলা যায় না। বরং মন দিয়ে, হৃদ্যতা দিয়ে এবং ভালোবাসা দিয়ে একজন রোগীকে বোঝা এবং দরদ দিয়ে ছবি তুলতে পারলে সেই হবে একজন ভালো চিকিৎসক, ভালো আলোকচিত্রশিল্পী। গণ বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দেলওয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফরিদা আদিব খানম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক ডা. মনজুর কাদির আহমেদ এবং ছবি প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক বাংলাদেশের প্রথম ফিআপ গোল্ড মেডেলিস্ট হাছান সাইফুদ্দিন চন্দন অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ছবি প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে আমেরিকার জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ছাত্র ডা. মো. জহিরুল আলম জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ও প্রতিযোগিতার পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
পরে ৬৮ জন প্রতিযোগীর ১৩৩টি ছবির মধ্য থেকে ১০ জন বিজয়ী ও ১০ জন রানার-আপদের নাম ঘোষণা এবং পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক মারিয়া দিনার ওয়েস্ট, অধ্যাপক কেইথ পি ওয়েস্ট এবং অধ্যাপক হেনরি বি পেরি এক ভিডিও বার্তায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। সবশেষে বিজয়ী ও রানার-আপদের ২০টি ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। আগামী তিন দিন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দর্শকদের জন্য ছবিগুলো উন্মুক্ত থাকবে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ছবি বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ফিআপ গোল্ড মেডেলিস্ট হাছান সাইফুদ্দিন চন্দন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক ডা. মনজুর কাদির আহমেদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"