খুবি উপাচার্যের সঙ্গে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের খুলনার সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা সস্ত্রীক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সঙ্গে ৪ জুলাই বুধবার দুপুর ১২টায় তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সহকারী হাইকমিশনার ফুল দিয়ে উপাচার্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
পরে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, উন্নয়ন কর্মকা-সহ খুলনা থেকে ভারতে যাতায়াত এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ শিক্ষা গবেষণা ও একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডার স্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ভারতেরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সুবিধা সৃষ্টিতে শিগগিরই আন্তর্জাতিক লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ তাদের অধ্যয়নের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে। উপাচার্য তার সাম্প্রতিক ইউরোপ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সেখানকার একটি দেশে গেলেই এখন অনায়াসে ইইউভুক্ত সব দেশেই সফর করা যায়। সেখানে ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন দেশ সার্বভৌম হলেও কাঁটাতার দিয়ে বা দেয়াল তুলে বিচ্ছিন্ন সীমানা গড়ে তোলা হয়নি। এক ট্রেনে উঠলেই অনেক দেশ ঘোরা যায়। তাই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাতায়াত যত সহজসাধ্য হবে, সম্পর্ক তত উন্নত হয়, ভোগান্তি কমে। এতে করে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে। সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা উভয় দেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এ অঞ্চলে আরো বিনিয়োগ ও সুবিধা বৃদ্ধি করতে চায়। উল্লেখ্য, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়ে গেছে। খুলনাঞ্চলের মানুষের ভারতে যাতায়াত সুবিধায় এবং ভারতের মানুষের খুলনাঞ্চলে তথা ঢাকায় যাতায়াতে আমরা খুলনাতে একটি ইমিগ্রেশন অফিস খোলার চেষ্টা করছি, যাতে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনেই ইমিগ্রেশনের কাজটি সম্পন্ন হয় এবং যাত্রীরা বিনা ভোগান্তিতে সহজেই ভারতে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া সপ্তাহে এক দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনই খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এর ফলে আজ কলকাতায় গিয়ে কাজ সেরে কাল আবার চলে আসার মতো সুবিধা হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সহকারী হাইকমিশনার ট্রেজারারের অফিসে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"