জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষণার ফলাফল
বাস্তুচ্যুত মানুষের কারণে ঢাকার পরিবেশ বিপন্ন
বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান পঞ্চম। বাস্তুচ্যুত মানুষের কারণে ঢাকার পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে, সেবার মান কমছে এবং নগর অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ৬ জুন বুধবার আরআইখান মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নগর সমস্যা ও বাস্তুচ্যুত মানুষের নগরে অভিগমন ও অভিযোজন : ঢাকা মহানগরের ওপর গবেষণার ফলাফল প্রকাশ’ শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নজরুল ইসলাম আরবান স্টুডিও এবং বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রধান অতিথি এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপক কান্তি পাল বিশেষ অতিথি ছিলেন। গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকি বেশি। গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধানের উপায় বের করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নয়নসহ পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ও টেকসই প্রকল্প গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ
করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশ্বের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বৃহত্তম বাস্তুচ্যুত দেশসমূহের কর্ম-পরিকল্পনাও এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশবিষয়ক সার্বিক গবেষণা গতিশীল করতে শিগগিরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ্রিন হাউস’ নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"