বাকৃবিতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিবিষয়ক কর্মশালা
পুকুরে দেশীয় কার্পের (রুই এবং কাতলা) সঙ্গে শিং এবং কৈ মাছের মিশ্র চাষে প্রয়োজনের অর্ধেক খাবার সরবরাহ করেই অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। পুকুরে কম খাবার সরবরাহের ফলে কৃষকদের মাছ উৎপাদন ব্যয় যেমন কমে যাবে, তেমনি বাড়বে উৎপাদন।
এ ছাড়া অধিক খাবার পুকুরের পরিবেশও নষ্ট করবে না। ৩১ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘পুকুরের জলজ পরিবেশের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে কৈ, শিং এবং দেশীয় কার্পের মিশ্র চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি’বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এসব তথ্য জানান গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. শাহোজ মাহেন হক।
তিনি আরো জানান, অধিক উৎপাদনের আশায় মৎস্যচাষিরা প্রায়ই তাদের পুকুরে অধিক খাবার দিয়ে থাকেন। কিন্তু অধিক খাবার যেমন মাছের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি পুকুরের পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। এ ছাড়া খাবারের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচও বেশি হয়। তাই দেশীয় কার্পের সঙ্গে শিং অথবা কৈ মাছের মিশ্র চাষে প্রয়োজনের অর্ধেক খাবার সরবরাহ করেই কাক্সিক্ষত উৎপাদন পাবেন মৎস্যচাষিরা।
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. শাহোজ মাহেন হক। কর্মশালায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলের মৎস্যচাষি, বিভাগীয় শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"