কুবিতে নববর্ষে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়ে মঙ্গলযাত্রা
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’Ñবাণী ধারণ করে ককশিটে ঘোড়ার ছবি, বাঘের মুখোশ, সমৃদ্ধির প্রতীক হাতি ও টেপা পুতুল, আল্পনা, দেয়ালিকা, পান্তা ভাত-মাছ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ১৪ এপ্রিল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর মাধ্যমে শুরু হয় নববর্ষ উদযাপনের কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ময়নামতী জাদুঘর, শালবন বিহার হয়ে বৈশাখী চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে নিয়ে শোভাযাত্রার সামনে পেছনে ঢাকের তালে তালে চলে বাঁশি আর নৃত্য। কারো হাতে ছিল বাহারি রঙের মুখোশ। শোভাযাত্রার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলিবল মাঠে লোকজ খেলাধুলা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
শোভাযাত্রা ও খেলাধুলা অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে উপাচার্য বাংলা বিভাগে যান এবং বিভাগের আয়োজিত ‘রুদ্র বৈশাখ’ নামক দেয়ালিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। একই সঙ্গে তিনি বিভাগের আয়োজন পান্তা ভাত-মাছ ভোজনে যোগ দেন। দুপুর ২টা থেকে বৈশাখী চত্বরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চা কেন্দ্র, প্রতিবর্তন, প্লাটফরমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। একই সঙ্গে বাংলা বিভাগের প্রভাষক নাহিদা বেগমের নির্দেশনায় থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ‘বেহুলা ভাসান’ নামে একটি মনোজ্ঞ পালার আয়োজন করে। বর্ষবরণের পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে ‘রেডিও কুবি’ নামক ক্যাম্পাস রেডিও। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"