ইবি প্রতিনিধি
ইবিতে বর্ষবরণে ভিসি
অপসংস্কৃতির কারণে যেন দেশীয় সংস্কৃতির ক্ষতি না হয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ পালিত হয়েছে। ১৪ এপ্রিল শনিবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বেলুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে প্রশাসন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসের আমবাগানের ‘বাংলা মঞ্চে’ এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় বৈশাখী উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের উৎসব, যেখানে নেই কোনো ভেদাভেদ ও বিভাজন। সমাজ ও সভ্যতার বিনাশ সৃষ্টিকারী অপসংস্কৃতির কারণে যেন আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির চরম ক্ষতি না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা, যা আজ জাতিসংঘের ইউনেসকো কর্তৃক ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, স্বাগত বক্তা ও বিজ্ঞান মেলার উদযাপন উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও তিয়াশা চাকমার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমান। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাংলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রা সমাজের বিশেষ কোনো শ্রেণির বা পেশার মানুষের জন্য নয় বরং তা সর্বজনীন, যেখানে সব ভেদাভেদ ভুলে জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়। গ্রহের কোনো দেশেই বারোটি মাস ও ছয় ঋতু নেই বাংলাদেশের মতো। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে আমাদের প্রকৃতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে আমাদের দৈনন্দিন ও ব্যক্তিগত জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক বাঙালীয়ানায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজকে বৈশাখী উৎসব পালনে শহর বা গ্রাম বলে কিছু নেই বরং সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রাণের উৎসবে, প্রাণের মেলায় মিলিত হচ্ছে।
"