জমকালো আয়োজনে শেষ হলো গ্লোবাল মানি উইক
জমকালো আয়োজন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গ্লোবাল মানি উইকের সমাপনী পর্ব। ‘আর্থিক ব্যাপারই ব্যাপার (মানি ম্যাটার্স ম্যাটার)’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাত দিনব্যাপী উদযাপিত হওয়া এ বছরের গ্লোবাল মানি উইকের সমাপনী পর্বটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নেতাদের আলোচনা সভা ও এসিসিএ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ব্যবসায় খেলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ মার্র্চ বৃহস্পতিবার শেষ হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ব্রিটিশ কাউন্সিলের টেকনিক সেন্টার ম্যানেজার ফায়ি নিকোলাস, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা কে এম হাসান রিপন।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ গ্লোবাল মানি উইক-২০১৮-এর স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গ্লোবাল মানি উইকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল চাইল্ড অ্যান্ড ইনফরমেশন ইন্টারন্যাশনাল, ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইএমকে সেন্টার, বিল্ড বাংলাদেশ, নাগরিক টিভি, রেডিও ফুর্তি ও ক্যাম্পাস টিভি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ড. মো. সবুর খান বলেন, গ্লোবাল মানি উইকের উদযাপন অব্যাহত থাকবে এবং আগামী বছর আরো অভিনব উপায়ে গ্লোবাল মানি উইক উদযাপন করা হবে। এ সময় তিনি গ্লোবাল মানি উইক সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান। গ্লোবাল মানি উইক উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভূয়সী প্রশংসা করেন ফায়ি নিকোলাস।
সমাপনী পর্বে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কর্মকা- ও আয়োজন অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরেন কে এম হাসান রিপন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, শিশুদের মধ্যে সঞ্চয় অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম রেজাউল করিম তার বক্তব্যে শিশুদের মধ্যে ব্যাংকিং সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী বলেন, গ্লোবাল মানি উইক উদযাপন করতে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। সাত দিনের এ উৎসবের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণ সংগঠনের ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ব্যাংকিং, সঞ্চয়, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তাবৃত্তি ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা লাভ করেছেন। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এই গ্লোবাল মানি উইকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"