ড্যাফোডিল আইসিটি কার্নিভালে সবুর খান
আগামীর পৃথিবী তথ্যপ্রযুক্তির
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী দেশের প্রথম ও বৃহত্তম ‘ড্যাফোডিল আইসিটি কার্নিভাল-২০১৮’ ১১ ফেব্রæয়ারি রোববার থেকে শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মো. সবুর খান বলেন, আগামীর পৃথিবী হবে তথ্যপ্রযুক্তির। ফলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানের বিকাশ ছাড়া ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করতে এ কার্নিভালের আয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগসহ ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ পেশাজীবী অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্নিভালের উদ্বোধন করেন। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কার্নিভালের আহŸায়ক মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যঅধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইষলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহাবব উল হক মজুমদার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভ‚ঁইয়া, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ আলায়ার ও কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রধান সরোয়ার হোসেন মোল্লা। ১৩ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার শেষ হয় এ কার্নিভাল।
দেশের সর্ববৃহৎ কার্নিভালে ছিল আইসিটি প্রজেক্ট প্রদর্শনী, ভার্চুয়াল গেমিং কর্নার, লার্নিং টু লার্ন, গ্রাফিকস আর্ট কনটেস্ট, আইটি অলিম্পিয়ার্ড, ইন্টারেক্টিভ সেশন, প্যানেল ডিসকাশন, ক্যারিয়ার টক, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, স্মার্ট ক্যাম্পাস হ্যাকাথন, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, কুইজ প্রতিযোগিতা, ফান গেমস, মুভি, গেম শো ও টেকনো ফেশন শো, বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট, টেক ডিবেট, অ্যালামনাই ডায়ালগ, মোটিভেশন সেমিনার, আইসিটি শিল্পে ক্যারিয়ার বিষয়ে ডায়ালগ, গুগল টক, গেমিং কনটেস্ট, মিউজিক্যাল শো ইত্যাদি। সেরা প্রকল্প ও পারফরমারের জন্য মোট ১০ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয় এ কার্নিভালে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মো. সবুর খান আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য রফতানির জন্য সরকার ১০ শতাংশ হারে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে। এই সুযোগ তোমাদের গ্রহণ করতে হবে। এজন্য এমন প্রকল্প উদ্ভাবন করতে হবে, যা একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর উপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের হয়। এ সময় মো. সবুর খান বলেন, ভোক্তার চাহিদাকে উপলব্ধি করে পণ্যের আইডিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। তাহলে সেই উদ্ভাবন দীর্ঘমেয়াদে সফল হবে। এখন যেহেতু গেøাবালাইজেশনের যুগ, তাই সমগ্র পৃথিবীর ভোক্তার চাহিদা মাথায় রেখে প্রকল্পের ডিজাইন করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ড. মো. সবুর খান।
ড. মো. সবুর খান বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ‘আইসিটি’ একটি জনপ্রিয় ও দ্রæত উন্নয়নশীল খাত। আর আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মও এ অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক উদ্ভাবনীর নানাবিধ ধারার সঙ্গে তালমিলিয়ে তাদের সামনে দৃশ্যমান যতটুকু সুবিধা নেওয়া সম্ভব তা নিতে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই। তার পরও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সংযুক্তি ও অনুক‚ল পরিবেশের অভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রতিভা, মেধা ও যোগ্যতার বিকাশ ও পরিপূর্ণ প্রস্ফুটন ঘটাতে পারছে না। আবার শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহও তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল পাচ্ছে না। এ দুয়ের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ড্যাফোডিল পরিবারের দক্ষ জনবল, পণ্য ও সেবাসমূহ জনসম্মুখে তুলে ধরতেই এ কার্নিভালের আয়োজন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"