খুবিতে আইন ও বিচার ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় ব্যাচের নবীনবরণ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আইন ও বিচার ডিসিপ্লিনের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের ছোট ভাই-বোন হিসেবে বরণ করে নিয়ে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা কখনোই র্যাগিং নামের অপসংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দেবে না, নবাগতদের মানসিক কোনো পীড়নে ফেলবে না এর বদলে তারা ক্যাম্পাসে আগত নবীন শিক্ষার্থীদের সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। তাদের এই ডিসিপ্লিনকে তারা মাদকমুক্ত বলেও ঘোষণা দিয়ে বলেন নবাগতরা, যাতে হতাশায় না ভোগে সে ব্যাপারেও তারা সচেতন থাকবে। ১ জানুয়ারি সোমবার আয়োজিত এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণের পর ডিসিপ্লিনের মাত্র এক বছর বয়েসের মধ্যে তাদের শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে যে অর্জন এবং ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনের নানা সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশাবাদী মনোভাব জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয় প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলে প্রত্যাশার সঙ্গে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ভয়-সংকোচ নিয়ে ক্যাম্পাসে পা রাখে। কিন্তু শিক্ষাকার্যক্রমের প্রথম দিনটি তাদের জন্য যেভাবে উপভোগ্য করে তোলা হয়েছে তাতে তারা আপ্লুত। তাদের সব সংশয় কেটে গেছে, আত্মপ্রত্যয় ও বিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। এমন রিসেপশন তারা জীবনে কখনো দেখেননি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এমনিতেই সন্ত্রাস, রাজনীতি ও সেশনজটমুক্ত দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় তার সঙ্গে এখানকার পরিবেশে যে কতটা অনন্য তা তারা বুঝতে পেরেছে। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করে।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সকাল ১০টায় দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তীকৃত নবাগত ছাত্রছাত্রীদের নবীনবরণ ও কারিকুলাম বিতরণ অনুষ্ঠানের এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করা হয়। আইন ও বিচার ডিসিপ্লিনের প্রভাষক পুনম চক্রবর্তীর সভাপতিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. ওয়ালিউল হাসানাত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম রফিজুল হক, ছাত্রবিষযক পরিচালক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাশ, ডিসিপ্লিনের খ-কালীন শিক্ষক প্রবীণ আইনজীবী আহমেদ উল্লাহ পিলু। প্রথম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পূজা বসু, কাজী শামস মাহামুদ, আল-আমিন গাজী, মুমতাহেনা ফেরদৌসী, মাসনুস কবির মাহিন, বায়েজিদ বোস্তামি, শোয়াইব বিন-হাবিব নাহিন, পুষ্পমালা দাশ, আল মামুন খান স্নেহ, দেবজ্যোতি সরকার এবং নবীনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুষ্মিত সাইফ, তাসনিক অনিক ও আলমগীর। প্রধান অতিথি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্যাবলি এবং আইন শিক্ষার অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সারগর্ভ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বের অনেক নেতাদের কথা বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতিসহ এ পর্যন্ত যারা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে অন্তত ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন তারা সবাই আইনের ছাত্র ছিলেন। তিনি নবাগত শিক্ষার্থীদের তার ডিসিপ্লিনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক বছরের মধ্যেই যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী যে দ্বিতীয় ব্যাচ এবং আরো যারা সামনে আসবে তারা এখানে ভালো করবে। তিনি বলেন, ভালো কিছু করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। আমরা সে কাজটি যথাযথভাবে করতে চাই। নবীন শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনেই কারিকুলা দেওয়া হলো। তারা এর মাধ্যমে শুরুতেই তাদের কোর্স সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং এতে পড়াশোনার ব্যাপারে প্রথম থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"