আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঝড়-তুষারপাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য জনজীবনে স্থবিরতা
ঘূর্ণিঝড় ও তীব্র তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য। এর প্রভাব পড়েছে সড়ক, রেল ও আকাশপথসহ সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থায়ও। ফলে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। গত রোববার ব্রিটেনের সেন্ট্রাল ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ঝড়-তুষারপাতের তান্ডব দেখা যায়। ১৪৪ কিলোমিটার বেগে ‘ক্যারোলিন’ নামে একটি ঝড় আঘাত করার পর বেশ কিছু এলাকায় কয়েক ঘণ্টা ধরে ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত বরফ জমে থাকতে দেখা যায়। তুষারপাতের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির কারণে সেন্ট্রাল লন্ডনে তাপমাত্রা একেবারে পড়ে যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এমন বিরূপ পরিবেশের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম লন্ডনের হিথ্রো, বার্মিংহাম, স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরসহ অনেক বিমানবন্দরেরই আসা-যাওয়ার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। কেবল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজই বাতিল করেছে অন্তত ৩০টি ফ্লাইট। প্রায় প্রত্যেক এলাকার স্কুলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নামার আগে পরিবেশের খোঁজখবর নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে ‘বিবিসি লন্ডন ট্রাভেল’। তুষারপাত ও তীব্র বাতাসের কারণে কয়েক হাজার বাড়িঘর এখনো বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থা আরো চলতে থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
হিথ্রো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের আবহাওয়ার কারণে অনেক যাত্রীকে তাদের ভ্রমণে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। হিথ্রোমুখী অনেক ফ্লাইটকেই টার্মাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। সে জন্য লোকজনকে যাত্রা করার আগে তাদের ফ্লাইটসহ সার্বিক খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।
বরফ জমে সড়ক ও রেল চলাচলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে সড়ক ও রেল পরিবহন কর্তৃপক্ষও বলেছে, বিভিন্ন স্থানে বরফ জমে সড়ক ও রেল চলাচলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বরফ জমে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্টার্ন ইংল্যান্ডের যোগাযোগব্যবস্থায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কের নিচে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যে কারণে রোববার ছিল বছরের সবচেয়ে শীতল রাত।
"