আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

হুমকির মুখে ‘পাখির ভাষা’

তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে কৃষ্ণ সাগর উপকূলের পাহাড়ি গ্রামগুলোর বাসিন্দারা শিস বাজিয়ে দূর থেকে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন, যা ‘পাখির ভাষা’ নামে পরিচিত। জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাÑইউনেসকো বিশেষ ওই ভাষাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের বিপন্ন অংশ ঘোষণা করে তা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে।

ইউনেসকোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মূলত তুরস্কের গিরেসুন প্রদেশের জানাকজি জেলার প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা এই ভাষা ব্যবহার করেন। পাহাড়ি ওই অঞ্চলে বাসিন্দারা অধিক দূরত্বে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে বিশেষ ধরনের শিস (ভাষা) ব্যবহার করে। বিশেষ ওই ভাষাটি অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে, যার জরুরি সুরক্ষা প্রয়োজন। সামাজিক ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির উন্নয়ন বিশেষ করে মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তার কারণে ভাষাটি হুমকির মুখে। ইউনেসকোর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের সংস্কৃতিমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুস। তিনি টুইটারে কৃষ্ণ সাগর উপকূলবর্তী ওই সব বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যারা ‘ভাষাটি বাঁচিয়ে রেখেছে’। বিবিসি জানায়, এখনো কুসকোই গ্রামের বাসিন্দারা শিস দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন। অথচ অর্ধশতাব্দী আগেও কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে যোগাযোগের বিশেষ এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। কুসকোই গ্রামের বাসিন্দারা এই ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারা প্রতিবছর বার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। এ ছাড়া জেলা কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ভাষা শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু করেছে বলে জানায় তুরস্কের দৈনিক হুররিয়াত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist