আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন ড্রোন ঢুকলেই গুলি : পাকিস্তান
আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে আমেরিকাকেও ছাড় দেবে না পাকিস্তান। এমন হলে অন্য দেশের তো বটেই, গুলি করে মার্কিন ড্রোনও নামিয়ে দেবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। তার বাহিনীকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সম্প্রতি পাক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল সোহেল আমান।
আমান বলেছেন, ‘আমরা কাউকেই আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে দেব না। বিমানবাহিনীকে বলেছি, এমন ঘটনা ঘটলে ড্রোনগুলোকে গুলি করে মাটিতে নামাতে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সংহতি বিপন্ন করে যদি মার্কিন ড্রোন আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’ ঘটনাচক্রে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের একটি উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় সপ্তাহ দুয়েক আগে মার্কিন ড্রোন হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিদের একটি গোপন আস্তানায়। তাতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়।
পাক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশের ওপর বরাবরই কর্তৃত্ব রয়েছে মৌলবাদীদের। তাই দেশের উপজাতি এলাকায় জঙ্গিদের গোপন আস্তানার ওপর মার্কিন ড্রোন হামলার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পাক বিমানবাহিনীর প্রধানের এই নির্দেশ। এটা আসলে ওয়াশিংটনকে বার্তা দেওয়া হলো। চলতি সপ্তাহেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধান মাইক পম্পিও হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইসলামাবাদ যদি পাক ভূখন্ডে ঘাঁটি গাড়া সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে চোখে পড়ার মতো কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে কীভাবে জঙ্গিদের শায়েস্তা করতে হয়, তা ওয়াশিংটনই বুঝে নেবে। পাক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পম্পিও আসলে ওসামা বিন লাদেন বধের অভিযানের মতোই কোনো মার্কিন অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পাক বিমানবাহিনীর প্রধানের নির্দেশ পম্পিওর হুশিয়ারিকেও বার্তা দিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
২০০৪ থেকে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে যতগুলো মার্কিন ড্রোন হানাদারির ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলোই করিয়েছে সিআইএ।
"