আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতকে ঠেকাতে পরমাণু অস্ত্র পাকিস্তানের
ভারতীয় সেনাকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। হামলা প্রতিহত করতে তাদের হাতে স্বল্প পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত পরিষদে (কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস) জানালেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে বার্ষিক সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলছে। সেই উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তিনি। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার কাছে ইসলামাবাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার ওপর আমাদের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যথেষ্ট নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রয়েছে। পাকিস্তানি পারমাণবিক কার্য পরিচালন কর্তৃপক্ষের (এনসিএ) কড়া নজরদারিতে গোটা বিষয়টি সম্পাদিত হয়।’ পড়শি দেশের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে ১৯৭৪ সালে ‘কোল্ড স্টার্ট’ নীতি চালু করে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী। যাতে যুদ্ধ বাধলে লাগাতার আক্রমণ করে পাকিস্তানকে পরমাণু হামলা করা থেকে বিরত রাখা যায়। সেই নীতিকে প্রতিহত করতেই স্বল্প দূরত্বের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর। যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য আলাদা কোনো শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র তাদের হাতে নেই। পাকিস্তানের মাটিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অবাধ বিচরণের কথা আন্তর্জাতিক মহলের অজানা নয়। কোনোভাবে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি তাদের হাতে এলে আর রক্ষা থাকবে না। তাই পাকিস্তানের বিপুল অস্ত্রভা-ার নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি-সংক্রান্ত পরিষদ ও ইসলামাবাদের মধ্যস্থতাকারী ডেভিড স্যাঙ্গার। তিনি বলেছেন, ‘বাকি দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। এমনিতেই উত্তর কোরিয়া গোটা দুনিয়ার ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তার মধ্যে পাকিস্তান এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অস্ত্রাগারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা উদ্বিগ্ন ওয়াশিটন।’ আব্বাসি অবশ্য সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, ‘গত ২০ বছরে কোনো সমস্যা হয়নি। তাই পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো সন্দেহ না থাকাই ভালো। কোনো চরমপন্থি সংগঠন বা সন্ত্রাসবাদী পরমাণবিক অস্ত্রের নাগাল পাবে না। কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমরা পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। এশিয়ার সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে, সেই ষাটের দশকে পরমাণু প্রযুক্তি হাতে পাই।
"