আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়া-চীনের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিতে সমর্থনের অভিযোগ এনে রাশিয়া ও চীনের ১০ প্রতিষ্ঠান ও ছয় ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
জুলাইয়ে দুটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। এরপরও দেশ দুটির কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের শুরু থেকেই কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি দেশটি। চলতি মাসের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল উত্তর কোরিয়া। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছুদিন চুপ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে উত্তর কোরিয়া কিছুটা নমনীয় হওয়ার পর আবার কট্টর অবস্থানে গেল ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের ফলে খুব দ্রুতই আলোচনায় বসতে পারে উত্তর কোরিয়া। এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়া সংযম ধরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সেসব রাষ্ট্রের ওপর প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করবে, যারা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করবে এবং এর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।’
"