আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিজেকে ফার্স্টলেডি ভাবেন না ব্রিজিত
স্বামী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ত্রুটি আছে একটিই। আর তা হলো, আমার চেয়ে অনেক বেশি ইয়াং। প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত এলিসি প্রাসাদে কয়েক মাস কাটিয়েও কখনো আমার মনে হয়নি আমি ফার্স্টলেডি। দেশটির ইলি ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ।
উল্লেখ্য, ইমানুয়েল-ব্রিজিত জুটি ফ্রান্সের নির্বাচনের সময় থেকেই সাড়া ফেলেন। তাদের প্রেমকাহিনি নজর কাড়ে গণমাধ্যমের। একসময় নাটকের শিক্ষিকা ছিলেন, এখন ইমানুয়েলের ফার্স্টলেডি ব্রিজিত। ১৭ বছর বয়সে ইমানুয়েল প্রেমে পড়েন ব্রিজিতের। সাহস দেখিয়ে সে কথা জানিয়ে দেন তাকে। বলেন, ‘আমি তোমাকে একদিন বিয়ে করব, দেখো।’ ইমানুয়েল কথা রাখেন। বয়সের ২৫ বছরের ব্যবধান অগ্রাহ্য করে ২০০৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইমানুয়েল-ব্রিজিত।
এরপর এবারই প্রথম ব্রিজিত তাদের ভালোবাসার কাহিনি জানালেন ইলি ম্যাগাজিনকে। তিনি বলেছেন, সরকারি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি স্বীকার করেন, তাকে ফার্স্টলেডি বলা হলে এখনো তিনি অস্বস্তিবোধ করেন। ব্রিজিত বলেন, আমি নিজেকে ফার্স্টলেডি ভাবি না। ওটা আমেরিকান সংস্করণ। এমনটা আমি কখনো ভাবি না। যখনই আমি ফার্স্টলেডি শব্দটি শুনি তখনই আমি পেছনে তাকাই। ভাবি আমরা কার বিষয়ে কথা বলছি?
নিজের স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক ফার্স্টলেডি মর্যাদার পদ সৃষ্টির জন্য তৎপর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে দেশটির প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট পদ থাকলেও ফার্স্টলেডির কোনো পদ নেই। ফলে স্ত্রীর জন্য পদ সৃষ্টির বিষয়ে বড় বাধার সম্মুখীন ম্যাক্রোঁ।
সাবেক প্রেসিডেন্টদের স্ত্রী বা পার্টনার সরকারি দায়িত্ব পালন করলেও তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক মর্যাদা ছিল না। কারণ, ফ্রান্সে প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বা স্বামীর জন্য কোনো মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন ইমানুয়েলের জনপ্রিয়তা মারাত্মকভাবে নিচে নেমে যায়। পরে তিনি স্ত্রীর জন্য ওই পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। তবে ব্রিজিতের ভূমিকা কি হবে, এ বিষয়ে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানোর কথা রয়েছে। ইনডিপেনডেন্ট ও টেলিগ্রাফ।
"