আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কিমকে ঠেকাতে ফের মার্কিন হুমকি
সুর নরম করতে রাজি নয় আমেরিকা। বরং উত্তর কোরিয়া হামলা করলে আমেরিকা তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি বলেই ফের জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তার দাবি-জাপান কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াকে নিশানা করা হলেও কিম জং উনকে ছাড় দেবে না পেন্টাগন। পিয়ংইয়ং যেবার গুয়ামে হামলার হুমকি দিয়েছিল, তখনও এভাবেই সুর চড়িয়েছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হুঙ্কার তার ঘনিষ্ঠ প্রতিনিধির।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখার কথাই জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি কিমের এই ‘বিচক্ষণতার’ প্রশংসাও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন বলেন, ‘যুদ্ধে এর সমাধান সম্ভব নয়। অতএব সে কথা ভুলে যান।’ এর পরেই গত শুক্রবার আচমকা ব্যাননকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেন ট্রাম্প। মনে করা হচ্ছে, ‘যুদ্ধ নয়’ বলে নরম হওয়ারই মাসুল দিতে হলো তাকে।
টিলারসন অবশ্য ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কিমকে বাগে আনতে চেয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধই শেষ বিকল্প। একমত তার জাপান সফরের সঙ্গী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিসও। গত শুক্রবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতসুনোরি ওনডেরার সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে টিলারসন বলেন, ‘আগ বাড়িয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছি না আমরা। কিন্তু উত্তর কোরিয়ায় যেকোনো হামলার জবাব দিতে তৈরি আমাদের সেনারা। তৈরি আমাদের জোটসঙ্গীরাও।’ ম্যাটিসও তাতে সায় দিয়ে জানান, উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে কূটনৈতিক আলোচনাই চাইছে আমেরিকা। আর কিম তাতে রাজি না হলে, জোটসঙ্গীদের নিয়ে শিক্ষা দিতে প্রস্তুত আমেরিকা।
মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশের দাবি-এ মুহূর্তে ট্রাম্পের দিক থেকে আসা প্রতিটি বল দেখে খেলতে চাইছেন কিম। সম্প্রতি তাই নতুন করে আর হুমকি বা হুশিয়ারি দেয়নি পিয়ংইয়ং। জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওনডেরা যদিও মার্কিন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, গুয়ামকে নিশানায় রেখেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তোড়জোড় চালাচ্ছে কিম প্রশাসন। চলছে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতিও। তাই উত্তর কোরিয়ার ওপর আরো কয়েক প্রস্থ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোয় একমত জাপান। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরাতে ওয়াশিংটন যা-ই পদক্ষেপ করুক, তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে টোকিও। কিমের মোকাবিলায় পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও উদ্যোগী দুই দেশ। সূত্রের খবর, শুক্রবার বৈঠকে এ নিয়েও কথা হয়েছে। টিলারসন জানান, কিমকে চাপে রাখতে ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশকেও দলে টানতে চাইছে আমেরিকা।
"