আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হঠাৎ আপৎকালীন সতর্কতা, চাঞ্চল্য গুয়ামে
অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটিই লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার
আচমকা আপৎকালীন সতর্কতা জারি হলো গুয়ামে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে অ্যান্ডারসেন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আমেরিকা জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মোকাবিলায় প্রস্তুত মার্কিন বাহিনী। গুয়ামবাসীকে জানানো হয়েছে, হামলা হলেই রেডিও, টিভি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সতর্কবার্তা জারি হবে, বেজে উঠবে সাইরেনও। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎই সেই সতর্কবার্তা জারি হলো গুয়ামে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ দুটি রেডিও স্টেশন থেকে সতর্কবার্তা জারি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল গুয়ামবাসীর মধ্যে। পরে অবশ্য জানা গেছে, ভুল করে আপৎকালীন সতর্কবার্তা জারি হয়েছিল সেখানে।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়েই গুয়ামের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কিভাবে হবে, কোন পথে হবে, তা বিশদে ছকে ফেলা হয়েছে বলেও পিয়ংইয়ং জানিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ার এই হুমকির পরেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল গুয়ামবাসীকে। সাইরেন বাজলে বা গণমাধ্যমে আপৎকালীন বার্তা পেলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে দুটি রেডিও স্টেশন সেই আপৎকালীন বার্তা জারি করায় তাই প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে দ্রুত প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়, ভুল করে আপৎকালীন বার্তা জারি হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে শান্ত হতে বলল চীন : গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকট নিরসনে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে উসকানিমূলক কর্মকান্ড এবং বাগাড়ম্বর থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। খবর : সিএনএন
ওইদিন চলমান সংকট নিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনালাপ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। আলাপকালে তিনি বলেন, কোরিয়া উপদ্বীপে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আগ্রহ আছে চীন, রাশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর।
দুই নেতার ফোনালাপের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পরমাণু অস্ত্রের বিষয়, বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়গুলো সমন্বয় করবে চীন। চীনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আলাপকালে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। জুলাইয়ে দুটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেস। পরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব জাতিসংঘেও পাস হয়। এ নিয়ে চটে যায় উত্তর কোরিয়া। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গুয়ামে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দেয়।
"