আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ১০০ দিন দেশের বাইরে
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি চিকিৎসার জন্য ১০০ দিন ধরে দেশের বাইরে রয়েছেন। দেশে তার অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে তার প্রতি হয় দেশে ফিরে আসতে না হয় পদত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বুহারি চিকিৎসার জন্য ৭ মে থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে তার অসুস্থতা সম্পর্কে কিছু প্রকাশ করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট দেশত্যাগের আগে তার হয়ে দেশ পরিচালনার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়েমি ওসিনবাজোকে নিযুক্ত করেন। ইয়েমি একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ৭৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের দীর্ঘদিন ধরে দেশে অনুপস্থিত থাকার প্রতিবাদে আবুজায় ৭ আগস্ট থেকে কয়েকটি সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার সংগীতশিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব চার্লেস ওপুতা একটি সমাবেশের নেতৃত্ব দেন। নগরীর উসে মার্কেটে এই সমাবেশে তার বেশ কয়েকজন ভক্ত যোগ দেয়। তিনি ‘চার্লি বয়’ হিসেবে পরিচিত। তবে সে সময় স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। যারা এই হামলা চালিয়েছে তারা প্রেসিডেন্টের নিজ সম্প্রদায় হাউসা জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তারা সমাবেশকারীদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে এবং ধাওয়া করে মার্কেট থেকে বের করে দেয়।
ঘটনাটি ১৯ কোটি জনগোষ্ঠীর দেশটিতে বিভক্তির চিত্রই ফুটিয়ে তুলেছে। উত্তরাঞ্চলীয় হুসা সম্প্রদায়ের মানুষ বুহারির এই অনুপস্থিতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে ওপুতার মতো দক্ষিণাঞ্চলীয় অনেকেই বুহারির অনুপস্থিতি নিয়ে খোলাখুলিভাবে সমালোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী বলেন, ‘তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারত। এই ছেলেরা তাকে (ওপুতাকে) হত্যা করতে ও তার গাড়িটি পুড়িয়ে দিতে পারত।’ উসেতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওপুতা বলেন, প্রেসিডেন্টের এই অনুপস্থিতি জনগণের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে।
"