আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আত্মহত্যার অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেক বাবা-মায়ের মনে। ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করার পর জানা যাচ্ছে, যে সে ‘ব্লু হোয়েল’ নামের একটি ইন্টারনেট-ভিত্তিক গেম খেলছিল।
ওই খেলায় একের পর এক ভয়ংকর কাজ করতে বলা হয়, যার শেষ পর্যায়ে আত্মহত্যার নির্দেশ দেওয়া থাকে। এর আগে মুম্বাইয়ে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করার পরেও পুলিশ তার বন্ধুদের কাছ থেকে জেনেছিল যে, সে সম্ভবত ব্লু হোয়েল গেমে অংশ নিচ্ছিল। রাশিয়ায় উদ্ভাবিত এই গেম খেলতে গিয়ে সারা পৃথিবীতে ইতোমধ্যেই প্রায় দেড় শ জন প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশির ভাগই কিশোর। তবে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের এই ছাত্র প্রাণে বেঁচে গেছে তারই এক শিক্ষকের জন্য। চামেলী দেবী পাব্লিক স্কুলের কর্তৃপক্ষ ইন্দোরের পুলিশকে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার স্কুল শুরুর ঠিক আগে একটি ছাত্র দেয়াল বেয়ে উঠতে শুরু করে। এক শিক্ষক তাকে ধরে ফেলেন। তার পরেই ওই ছাত্র জানায়, সে দেয়াল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। ইন্দোর পশ্চিমের পুলিশ সুপারিনডেনটেন্ট বিবেক সিং বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ছাত্রটির সঙ্গে কথাবার্তা বলার পরে আমাদের জানিয়েছিল। ওর কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। তাই আমরা খুব বিস্তারিত ওকে প্রশ্ন করতে পারিনি। তবে ওর বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, সে ব্লু হোয়েল গেমটা খেলতে শুরু করেছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে পুলিশ ছাত্রটির কাছ থেকে জানার চেষ্টা করবে যে আর কোন ছাত্র এই গেম খেলছে, কারাই বা ভয়ংকর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিচ্ছে ছাত্রদের। ইন্টারনেটভিত্তিক ব্লু হোয়েল গেমটি ২০১৩ সালে রাশিয়ায় তৈরি হয়। ফিলিপ বুদেকিন নামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত এক মনোবিজ্ঞানের ছাত্র দাবি করে যে সেই এই গেমের আবিষ্কর্তা।
"