আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিবিসির প্রতিবেদন
যাত্রীদের পোশাকের বিষয়ে সৌদি এয়ারলাইনসের সতর্ক বার্তা
সৌদি আরবের বিমানে কী ধরনের পোশাক পরে আসা যাবে অর্থাৎ বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ড্রেস কোডের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত থাকলে কেউ হয়তো তাতে খুব একটা অবাক হবেন না। যেহেতু দেশটি সুন্নি ইসলামের রক্ষণশীল সংস্কৃতি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সামলোচনা করে যে দেশটি এ ক্ষেত্রে খুব বেশি কট্টর হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে নারীদের অধিকারের বিষয়ে যে কড়া রীতিনীতি রয়েছে তা-ও কারো অজানা নয়।
আর এরই প্রকাশ আবারও ঘটেছে সৌদি এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটের এক বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভ্রমণের সময় যাত্রীদের শালীন পোশাক পরিধান করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তাদের পোশাক যেন অন্য কোনো যাত্রীর অসুবিধা বা অস্বস্তিবোধের কারণ না হয় সেটাই চায় সৌদি এয়ারলাইনস। এয়ারলাইনসের বিবৃতিতে উদাহরণ হিসেবে বলা হয় : নারীরা তাদের পা বা হাত দেখা যায় এমন কোনো পোশাক পরতে পারবেন না বা শক্ত আঁটসাঁট পোশাকও পরা যাবে না। অন্যদিকে পুরুষেরাও শর্টস পরে বিমানে উঠতে পারবে না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি মক্কাহ দেশটির পর্যটন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান আল আল ঘামদির কাছে জানতে চেয়েছিল-দেশটিতে নারীদের আঁটসাঁট পোশাক পরতে মানা করার পেছনে কী বিধান আছে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, পোশাক পরিধান বা ড্রেস কোডের বিষয়টি ঠিক করার ক্ষেত্রে তারাই শুধু একমাত্র এয়ারলাইনস নয়। বিশ্বের অনেকে দেশের এয়ারলাইনস নিজস্ব ড্রেস কোড মেনে চলে।সৌদি এয়ারলাইনসের ড্রেস কোডের বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনেকে। একজন যেমন টুইট বার্তায় লিখেছেন এটি এয়ারলাইনসের দারুণ একটি উদ্যোগ। কারণ তাদের ফ্লাইটে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ এবং যাত্রীদের নামাজ পড়ার সুবিধাও সেখানে রয়েছে।
"