আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কিমের নয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সন্দেহ সোলের
আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিয়ে উত্তর কোরিয়ার গর্বের অন্ত নেই। আইসিবিএম পরীক্ষার পরে উত্তর কোরিয়ায় আনন্দ উৎসব শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এত হইচইয়ে পাত্তা দিচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়া। এ দেশের গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, যতটা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে, ততটা ক্ষমতাসম্পন্নও নয় এই আইসিবিএম।
কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওপরে পরমাণু অস্ত্র বসিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে আঘাত করতে যে প্রযুক্তি দরকার, সেটাই আইসিবিএমে অনুপস্থিত।
৪ জুলাই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে কিমের দেশ দাবি করে, তাদের আইসিবিএমে ওই প্রযুক্তি রয়েছে। সেটি আলাস্কায় পৌঁছনোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া তা মানতে নারাজ। যদিও যে দিন এই পরীক্ষা হয়, তার পরে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা জানিয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্রটি মহাদেশ পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এর বেশি তথ্য দেয়নি তারা। এক বিশেষজ্ঞের দাবি, আমেরিকাকে আঘাত করতে পারে এমন পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আইসিবিএম তৈরি করা কিমের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। তিনি বলছেন, লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মর গাদ্দাফির মতো আপাতত অবস্থা কিম জং উনের। যিনি বিশ্বাস করেন, আমেরিকাকে ঠেকাতে পরমাণু অস্ত্রই একমাত্র পথ। গাদ্দাফিও দেশের ওপরে চেপে বসা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলতে লিবিয়ায় পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প বন্ধ করতে বাধ্য হন। তাতেও লাভ হয়নি। তাকেই উৎখাত করা হয়েছিল।
মার্কিন প্রতিরক্ষা-বিষয়ক গোয়েন্দা বিভাগের অধিকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিনসেন্ট স্টুয়ার্ট মে মাসেই মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের মূল বাধা, পরমাণু অস্ত্র বসিয়ে আইসিবিএম ছোড়ার প্রযুক্তি রপ্ত না করতে পারা। এটা সময়ের ব্যাপার। বারবার পরীক্ষা করতে করতে ওরা সফল হয়ে যেতেও পারে। ওরা পদার্থবিদ্যা বোঝে। এটা তো শুধু নকশার ব্যাপার।’ সোলের দাবি সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ তাই পুরোপুরি স্বস্তিতে থাকবে কি না, সে-ও এক প্রশ্ন।
"