আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মসুলে মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল আইএস
তারা নাকি ধর্মপ্রাণ মুসলিম সারা পৃথিবীতে কট্টর ইসলামী শরিয়ত আইন বলবৎ করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য সেই ২০১৪ সাল থেকে এমনটাই দাবি করে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। অথচ পবিত্র রমজান মাসে, ইসলাম ধর্মে উল্লেখিত সব থেকে পবিত্র স্থান মসজিদ গুঁড়িয়ে দিতে একবারও হাত কাঁপল না তাদের। আইএসের হাত থেকে মসুল উদ্ধার করতে বুধবার রাতে ফের অভিযানে নামে ইরাকি বাহিনী। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ, কয়েক শতাব্দী প্রাচীন বিখ্যাত ‘আল-নূরি’ মসজিদ চত্বরের প্রায় ৪৫ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে ইরাকি সেনা। তাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস জঙ্গিরা। যাতে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ‘আল-হাবদা’ চূড়াসহ গোটা মসজিদটি ধুলোয় মিশে যায়। ইরাকি সংবাদমাধ্যম সূত্রে ধ্বংসস্তূপের ছবি সামনে এসেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দর আল-আবাদি। আইএস অবশ্য মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। মার্কিন যৌথবাহিনীর বোমা বর্ষণের জেরেই মসজিদটি ধুলোয় মিশে গিয়েছে বলে নিজেদের অনলাইন মুখপাত্র ‘আমাক’-এ দাবি করেছে তারা। তাদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন যৌথবাহিনীর মুখপাত্র এবং মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্নেল জন ডোরিয়ান। ইরাকের ঐতিহাসিক শহর মসুলের ‘আল-নূরি’ মসজিদটি মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম নিদর্শন ছিল। তুরস্কের জেঙ্গিদ রাজবংশের নূর আল-দিন মাহমুদ জেঙ্গির নির্দেশে ১১৭২ সালে মসুলে ১৫০ ফুট উচ্চতার সেটি স্থাপিত হয়।
"