আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২২ জুন, ২০১৭

চলেই গেল ‘ভিনগ্রহী শিশু’

স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বড় মাথা নিয়ে জন্মেছিল শিশুটি। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই ঘটনা খুব বিরল না হলেও সংবাদমাধ্যমে শিশুটির নামই হয়ে গিয়েছিল ‘ভিনগ্রহী শিশু’। জন্মের পর চিকিৎসকরা বলেছিলেন, শিশুটি বেশি দিন বাঁচবে না। কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে পাঁচ বছর দিব্যি বেঁচেছিল শিশুটি। অবশেষে স্থানীয় সময় গত শনিবার রুনা বেগম নামের ওই শিশুটি মারা গেছে। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শিশুটি মারা যায় বলে জানিয়েছে তার পরিবার। শিশুটির মা সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, ‘সে ভালোই ছিল। কিন্তু শনিবার তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আমি আমার স্বামীকে তাকে ঘরে নিয়ে আসতে বলি। সে তাকে ঘরে এনে মুখে পানি দেয়। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মারা যায় সে।’

পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি জন্ম থেকেই ‘হাইড্রোসেফালাস’ রোগে ভুগছিল। এ রোগের কারণেই তার মাথার আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বাড়তে থাকে।

এএফপির আলোকচিত্রী ত্রিপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ২০১৩ সালে শিশুটির ছবি তুললে সে আলোচনায় আসে। আর সংবাদমাধ্যমে শিশুটির নাম হয়ে যায় ‘ভিনগ্রহী শিশু।’ তবে সেই থেকেই নয়াদিল্লি হাসপাতাল তাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আসছে।

নয়াদিল্লি হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসক রামসম্পথ ঝা জানান, রুনার মাথার আকার বেড়ে ৯৪ সেন্টিমিটারে (৩৭ ইঞ্চি) পৌঁছেছিল, যা তার মস্তিষ্কের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। এই বড় মাথার কারণেই শিশুটি হাঁটতে পারত না। ফলে তাকে সব সময় শুয়েই থাকতে হতো।

কয়েকটি অস্ত্রোপচারের পর তার মাথার আকার সর্বশেষ ৫৮ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছিল। মারা যাওয়ার একদিন পরই শিশুটির আরেকটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist