আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পদ হারাতে পারেন থেরেসা মে, দলেই কোণঠাসা
মুখরক্ষার জন্য হাতে রয়েছে আর মাত্র ১০ দিন। না হলে দলের লোকজনই ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে উৎখাত করতে পারে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে। নানা দিক থেকে ক্ষোভের মুখে তাই মানতেই হলো কথাটা। গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকা-ের পরে থেরেসা দুর্গতদের কাছে পৌঁছাতে সময় নিয়েছিলেন অনেকটাই। তা নিয়ে ব্রিটেনের জনতার একটি বড় অংশ চূড়ান্ত অসন্তুষ্টও হয়েছিল। ক্ষোভের বহর এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে কেনসিংটনে একটি গির্জায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে পুলিশ প্রহরায় বের করে আনতে হয়। কেউ চেঁচিয়ে বলেন, ‘দূর হটো’, কেউ বলেন, ‘কাপুরুষ’, কেউ আবার বলে দেন, ‘লজ্জা হওয়া উচিত আপনার!’ বিপর্যয়ের দিন অ্যালিসন মোজেস নামে ৫৭ বছরের এক মহিলা ড্রেসিং গাউনে নেমে এসেছিলেন গ্রেনফেল টাওয়ার থেকে। তিনি গির্জার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ওকে জিজ্ঞেস করতে চাই, যারা আশ্রয়হীন, তাদের কাছে পৌঁছাতে তিন দিন পেরিয়ে গেল কেন?’ কেউ কেউ বিক্ষোভ দেখান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরেও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার জন্মদিনে কোনো রকম উৎসব অনুষ্ঠানের মেজাজ থেকে দূরে রাখেন নিজেকে। এর আগেও তিনি আক্রান্তদের কাছে গিয়েছিলেন। তখনই এ ব্যাপারে থেরেসার নিষ্ক্রিয়তা সমালোচিত হয়। শেষমেশ গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকান্ডে নিজের ভূমিকার জন্য গত কাল রাতে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
"