আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাচ্চাদের স্কুলে বিস্ফোরণ চীনে মৃত ৭
বিকেলে ছুটির পর বাচ্চাদের নিতে কিন্ডারগার্টেনের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন বাবা-মায়েরা। হাসিমুখে বেরিয়ে আসছিল শিশুরাও। আচমকা বিস্ফোরণে মুহূর্তেই বদলে গেল পরিবেশ। চারদিকে তখন চাপ চাপ রক্ত আর পোড়া গন্ধ। বাচ্চাদের ভয়ার্ত কান্না আর জখমের আর্তনাদের মধ্যে সন্তানকে কোলে জড়িয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেউ কেউ। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে চীনের জিয়াংশু প্রদেশের ফেংজিয়ান কাউন্টির একটি কিন্ডারগার্টেনের সামনে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন বহু মানুষ। বিস্ফোরণে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৫৯। বিস্ফোরণের পর প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিও ক্লিপগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তারই একটিতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণে জখম অন্তত কয়েক ডজন লোক মাটিতে পড়ে। সেই দলে রয়েছে শিশুরাও। তারই মধ্যে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় ওঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত পারলেন না।
পরনের জামাকাপড় দেখে মনে হচ্ছে, আগুনে ঝলসে গিয়েছেন তিনি। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের ধাক্কায় তুবড়ে গিয়েছে স্কুলের প্রধান ফটক। স্কুল চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জানলার কাচ, প্লাস্টিক আর কাঠের টুকরো। তারই মধ্যে আতঙ্কে ছুটে বেড়াচ্ছেন লোকেরা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকারী দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। তারাই জানিয়েছে, এ দিন ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে হাসপাতালে আরো পাঁচজন মারা যান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বোতলবন্দি রান্নার গ্যাস থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে এটি নিছকই দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পনামাফিক হামলার ষড়যন্ত্র তা এখনো জানা যায়নি। তবে নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
এর আগেও চীনে একাধিকবার বাচ্চাদের স্কুলে হামলা চালিয়েছে আততায়ীরা। তদন্তকারীদের মতে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চীনের আইন বেশ কড়া। ওই সমস্ত ঘটনায় দেখা গিয়েছে, মূলত ব্যক্তিগত রোষে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে আততায়ী। এ দিনের ঘটনাতেও তেমন কোনো যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
"