আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তেজনার মধ্যে কাতারে মার্কিন রণতরী
কাতারকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই দেশটিতে দুটি রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যৌথ সামরিক মহড়ার জন্যই রণতরীগুলো কাতারে পৌঁছায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ২টার দিকে রণতরীগুলো কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছায়। এর আগে গত বুধবার জাহাজ দুটি কাতারের জলসীমায় প্রবেশ করে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মহড়ার কথা বলা হলেও, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কবে নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ১১ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে শতাধিক মার্কিন যুদ্ধবিমান বিভিন্ন কার্যক্রম চালায়।
বুধবার রণতরী দুটি যখন কাতারে পৌঁছানোর দিনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার দিয়ে ৩৬টি এফ-১৫ জঙ্গিবিমান কেনার চুক্তি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশটি। কাতারের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী খালিদ আল আত্তিয়াহ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের বৈঠকে অস্ত্র কেনার বিষয়টি সম্পন্ন হয়।
এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হবে না বলে আশা কাতারের। তবে কাতার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত- এমন দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। আর ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের পরপরই কাতারের ওপরে ওই নিষেধাজ্ঞার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে বলে মনে করছিলেন অনেকেই। তবে নতুন করে রণতরী পাঠানো এটাই প্রমাণ করে কাতার-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বাঁধন এখনো বেশ মজবুত।
এর আগে সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা ও ইরানকে সমর্থন করার অভিযোগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিত্র কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। যদিও সৌদির নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।
"