আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরো বিপাকে কুশনার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাই তথা অন্যতম উপদেষ্টা জেরাড কুশনার আমেরিকায় রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনবার যোগাযোগ করেছিলেন। এ কথা জানিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কাইস্লিয়্যাক। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় এবং পরে যোগাযোগ করেছিলেন কুশনার। তার মধ্যে গত বছর এপ্রিল এবং নভেম্বরে দুটি ফোনকল রয়েছে। কুশনার মার্কিন কূটনৈতিক তথ্য ক্রেমলিনের সঙ্গে আদানপ্রদানের জন্য রাশিয়ার কূটনৈতিক সাহায্য চেয়েছিলেন।
কাইস্লিয়্যাক আরো বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রাম্প টাওয়ারে তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের জাতীয় উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনও। আলোচনা হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ, আমেরিকা-রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে। গত বছর ৮ নভেম্বর নির্বাচনের পরও তিনজনের কথা হয়েছিল এমন একটি ব্যাক চ্যানেল তৈরি করা নিয়ে যাতে ট্রাম্প এবং পুতিন কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত তথ্য আদানপ্রদান করতে পারেন। ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নেওয়ার পর এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করার সময় থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এফবিআই ট্রাম্পের সঙ্গে ক্রেমলিনের যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করার পর কুশনারের সঙ্গে রুশ কূটনীতিকের যোগাযোগের বিষয়ে জানতে পারে। তদন্তে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত গত ৭ মাস ধরে প্রায় ১৮বার ট্রাম্প গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্রেমলিন বাহিনীর ফোন এবং ই-মেইল চালাচালি হয়েছিল। ওই ১৮টি যোগাযোগের অন্যতম দুই কর্তা ছিলেন কুশনার এবং ফ্লিন। এই নতুন তথ্যে মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকদের প্রশ্ন, কুশনার বা ট্রাম্প কিভাবে রাশিয়াকে বিশ্বাস করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদানপ্রদান করতে পারেন। তারা কিভাবে নিশ্চিত হতে পারেন, যে মস্কো এগুলো প্রকাশ করে দেবে না। কুশনারের রাশিয়া যোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই।
"