আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্কের বিচার শুরু
দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইয়ের বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালতে আনা হয়, মার্চে গ্রেফতারের পর থেকে এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তিনি, এ সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো ছিল, জানিয়েছে বিবিসি।
কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করা পার্কের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে মার্চে তাকে অভিশংসিত করা হয়। নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চোয়ি সুন সিলের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে স্যামসংসহ দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম কয়েকটি কোম্পানিকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে কারাগারে যাওয়া এই শীর্ষ রাজনীতিবিদকে আদালতে তার পেশা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘বেকার’। একই মামলায় চোয়ির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তিনিও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজীবনের বান্ধবী চোয়ির সঙ্গে আদালতের কাঠগড়ার পাশাপাশি বসে থাকার সময় তারা কোনো কথা বলেননি, এমনকি পরস্পরের দিকে একবার তাকিয়েও দেখেননি। কয়েদিদের পোশাকের বদলে কালো একটি স্যুট পরা ছিলেন পার্ক। তার বুকে লাগানো একটি ব্যাজে ৫০৩ নম্বরটি লাগানো ছিল, এটি তার কয়েদি নম্বর। তারা চুলে ক্লিপ লাগানো ছিল, সেগুলো আদালত থেকে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তার নিজের ক্লিপগুলো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বিবেচনায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
পার্ক গুয়েন হাইকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় আদালতে হাজির করা হয়। রয়টার্স পার্ক গুয়েন হাইকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় আদালতে হাজির করা হয়। রয়টার্স তার বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বলপ্রয়োগ ও সরকারি গোপন তথ্য ফাঁসসহ ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় গণমাধ্যমের খবর, তার বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পৃষ্ঠার। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, নিজের বান্ধবীর সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দুজনে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন।
"