আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ এপ্রিল, ২০২০

এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে চড়াও অস্ট্রেলিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিরুদ্ধে চড়াও হলো অস্ট্রেলিয়া। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া বিভিন্ন দেশের পদক্ষেপকে স্বাধীন পর্যালোচনার আওতার নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি। গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচওর ভূমিকার স্বাধীন পর্যালোচনাও চেয়েছেন তিনি। তার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট।

এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংকট সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তার দাবি, চীনে প্রকোপ শুরু হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা গুরুতরভাবে নেয়নি এবং বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তহবিল বন্ধ করে দেওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে এবার চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেন, তার দেশ এমন একটি পর্যালোচনা চায়, যার অংশ হিসেবে তদন্ত করা হবে যে চীন কীভাবে উহানে প্রকোপ দেখা দেওয়ার শুরুর দিকে ব্যবস্থা নিয়েছিল। তার দাবি, মহামারি পরিস্থিতিতে চীনের স্বচ্ছতা প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে। তার দাবি, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।

মরিসে আরো বলেন, ‘ভাইরাসটি নিয়ে আমাদের বিস্তারিত জানা দরকার। একটি স্বাধীন পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যাবে। এটি মোকাবিলার জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ শনাক্ত করতে হবে। কতটা খোলাখুলি তথ্য বিনিময় হয়েছে তাও নিরূপণ করতে হবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রসঙ্গ টেনে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত নই, তবে আমাদের স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক যোগাযোগের উপাদানগুলোকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাথমিক পর্যায়ের সংযোগ স্থাপন ও তদন্তমূলক কাজের পাশাপাশি পর্যালোচনায় দায়বদ্ধ হতে পারত।

মরিসে পেইনির করা স্বাধীন তদন্তের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট। তিনি দাবি করেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ উপেক্ষা করতে পারায় অস্ট্রেলিয়া ভাইরাসের বিস্তার সীমিত করতে পেরেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close