গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর থেকেই উহানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। কয়েক মাসেই করোনা মহামারি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। একইসঙ্গে উহানে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। চীনে করোনায় আক্রান্ত ও মারা যাওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই উহানের নাগরিক। তবে গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। তারা এই বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।

অন্যান্য দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ইতোমধ্যে উহান থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে উহানে আটকা পড়া হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

এদিকে, সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে গত দুদিনে চীনের কোথাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। নতুন করে করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, গত রোববার নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি। আগের দিনও করোনায় নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে গত রোববার নতুন করে ১২ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আটজনই বহিরাগত। গত কয়েক সপ্তাহে স্থানীয়দের তুলনায় বহিরাগতদের আক্রান্তের হার বেশি।

এদিকে, চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৭৪৭ এবং মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩২ জন। তবে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৭ হাজার ৮৪ জন। এছাড়া ৮১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

"