আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২২ মার্চ, ২০২০

৮০ শতাংশ করোনা রোগীর লক্ষণ সামান্য, সুস্থও হন দ্রুত

৮০ শতাংশের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে জ্বর এবং কাশির মতো সামান্য লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু এর মধ্যে অধিকাংশই দ্রুত এই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাস সম্পর্কে এ ধরনের তথ্য জানিয়েছে চীন।

চীনের একদল গবেষক বলছেন, তারা করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছেন যে, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর শরীরে জ্বর, সামান্য ব্যথা এবং কাশির মতো উপসর্গগুলো দেখা যায়।

চীনে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ শতাংশই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। কিছু গবেষণা বলছে যে, করোনায় আক্রান্ত কারো অসুস্থবোধ করা শুরু হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুব কম। তবে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) টিম সতর্ক করে বলেছে, অধিকাংশ লোকজনের শরীরে সামান্য লক্ষণ দেখা দেয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগ ধরা পড়ে না।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার উন্নতি ঘটবে। করোনা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। তবে চীনের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়লেও সেখানে গত দুদিন ধরে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গত ডিসেম্বরে এই ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত চীনে ৮১ হাজার আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩ হাজার ২৫৫ জন।

চীনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনাভাইরাস মূলত নাক, চোখ এবং মুখ দিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে। শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশের পর এটি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯১ হাজার ৯১২ জন।

এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২১। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৬। দেশটিতে গত এক দিনেই মারা গেছে আরো ৬২৭ জন। এ পর্যন্ত এক দিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটা।

ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩২ জনের। এখন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ১২৯ জন। ইউরোপের দেশটিতে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ৬৫৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এরপরেই রয়েছে স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭১ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৯৩ জন।

অপরদিকে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৪৮ এবং মারা গেছে ৬৮ জন। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৪৪ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৪৩৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৪৩ এবং মৃত্যু ২৬৩।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close