আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২০

৯২ হাজার কোটি রুপি দিতেই হবে ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলোকে

আরো একটি বড় ধাক্কা খেলো ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলো। লাইসেন্স ফি, জরিমানা ও রাজস্ব হিসেবে তাদের মোট ৯২ হাজার কোটি রুপি পরিশোধের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এস আবদুল নাজির ও এম আর শাহের যৌথ বেঞ্চ ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, টাটা টেলিসার্ভিসেসসহ অন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোর করা এই রিভিউ আবেদন বাতিল করেন দেন।

বিচারকরা তাদের আদেশে বলেন, ‘আবেদন পর্যালোচনা এবং এ সম্পর্কিত কাগজপত্রগুলো অত্যন্ত যতœ সহকারে দেখে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের সমর্থনযোগ্য কোনো কারণ খুঁজে পাইনি আমরা। তাই এই রিভিউ পিটিশন বাতিল করা হলো।’

এর আগে টেলিকম কোম্পানিগুলো তাদের রিভিউ পিটিশন উন্মুক্ত আদালতে শুনানি এবং বেঞ্চকে রায় পুনর্বিবেচনা করাতে রাজি করানোর সুযোগ দিতে আবেদন করেছিল। তবে বিচারকরা তাদের এসব আবেদনও বাতিল করে দিয়েছেন।

শেষ সুযোগ হিসেবে যারা অর্থ পরিশোধে অক্ষম কোম্পানিকে মওকুফ আবেদন করতে বলা হয়েছে। এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, আরকম, এয়ারসেল, বিএসএনএল, এমটিএনএল ভারতের প্রায় সব টেলিকম কোম্পানিই সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশের আওতায় পড়বে।

গত বছরের ২৪ অক্টোবর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে টেলিকম কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ৯২ হাজার কোটি রুপি আদায়ের নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। টেলিকম অপারেটরগুলো ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল।

কোম্পানিগুলোর দাবি, শুধু মূল টেলিকমিউনিকেশন সেবা থেকে পাওয়া আয়ের ভিত্তিতে এজিআর (অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ) পরিশোধ করা হোক। তবে আদালত তাদের এই আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন।

বরং কেন্দ্র সরকারের দাবি অনুযায়ী, এজিআর-এ লভ্যাংশ, হ্যান্ডসেট বিক্রি, ভাড়া, খুচরা যন্ত্রাংশ থেকে আয়ও অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রেভিনিউ শেয়ারিং অনুসারে, লাইসেন্স ফি হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১৫ শতাংশ এজিআর নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ১৩ শতাংশ, সর্বশেষ ২০১৩ সালে সেটি ৮ শতাংশ করা হয়।

২০০৩ সাল থেকে ভারত সরকার ও টেলিকম কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলমান বিরোধ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেন, চুক্তিতে গ্রস রেভিনিউয়ের সংজ্ঞা একেবারে পরিষ্কার। কীভাবে এজিআর আসবে তাও স্পষ্ট। এটা বলা যাবে না যে, চুক্তিতে রাজস্বের সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। একবার গ্রস রেভিনিউয়ের সংজ্ঞা দেওয়া হয়ে গেলে কেউ এ থেকে বের হতে পারবে না অর্থাৎ চুক্তির জন্য রাজস্ব দিতে হবে। আদালত বলেন, কোম্পানিগুলোকে শুধু লাইসেন্স ফি-ই নয়, বরং পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার সুদ ও জরিমানাও দিতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close