আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ নভেম্বর, ২০১৯

ইসরায়েলের বসতি এখনো বে-আইনি

জাতিসংঘ ও রেড ক্রস

দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। মঙ্গলবার উভয় সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বসতি এখনো আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বসতি নিয়ে অবস্থান বদল করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এসব বসতি এখন আর আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিহীন বলে বিবেচনা করবে না তার দেশ। তিনি দাবি করেন, পশ্চিমতীর ইসরায়েলের। পম্পেওর এই অবস্থানকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি মন্ত্রী। তবে এই পদক্ষেপকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এবার জাতিসংঘ ও রেড ক্রস এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের অবস্থান অনুসরণ করব; যাতে ইসরায়েলের বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন মনে করা হয়।’

রুপার্ট আরো বলেন, ‘একটি দেশের অবস্থান বদলের ফলে চলমান আন্তর্জাতিক আইন পাল্টে যায় না বা আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিসেরও নিরাপত্তা পরিষদের ব্যাখ্যা বদলে যায় না।’

২০০৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এক পরামর্শক অভিমতে জানায়, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

মানবাধিকার মুখপাত্র আরো বলেন, ১৯৪৯ সালের চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল স্বাক্ষর করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো দখলদার শক্তি দখলকৃত ভূখণ্ডে নিজেদের বেসামরিক নাগরিকদের স্থানান্তর করতে পারবে না।

জেনেভা কনভেনশনের তত্ত্বাবধায়ক আইসিআরসি পশ্চিমতীরকে দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close