আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ অক্টোবর, ২০১৯

স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের ৬ জনকে হত্যার অভিযোগ

ভারতের কেরালা রাজ্যে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে খাবারে সায়ানাইড দিয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ওই পরিবারের ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ বলছে, জলি সাজু নামের ৪৭ বছরের এই নারী ২০০২ সাল থেকে প্রথম স্বামী ও তার বাবা-মা, তার বর্তমান স্বামীর স্ত্রী ও শিশু সন্তান এবং অপর এক আত্মীয়কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার হাতে প্রাণ যাওয়া সবচেয়ে ছোট ছিল একটি নবজাতক, ২০১৪ সালে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়।

এই হত্যাকা-ে সহযোগিতার অভিযোগে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের একজন প্রাজিকুমার স্বর্ণকার, সায়ানাইড সরবরাহের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এই স্বর্ণকার বলছেন, ইঁদুর মারার জন্য জলি সায়ানাইড কিনছেন বলে তিনি ভেবেছিলেন।

বিবিসি বলছে, মাত্র দুই মাস আগে মামলাটি নিয়ে নতুন করে নাড়াচাড়া শুরু করে ভয়াবহ এই হত্যা রহস্য বের করতে পেরেছে পুলিশ প্রশাসন। জলির প্রথম স্বামী রয় টমাসের, ২০১১ সালে মারা গেছেন যিনি, ভাই রোজো টমাস একই কায়দায় পরিবারের এতগুলো সদস্যের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে সন্দেহের কথা জানালে নতুন করে তদন্ত শুরু করেন তারা।

পুলিশ বলছে, জলি প্রথম হত্যা করেন তার শাশুড়ি আন্নামা টমাসকে, ২০০২ সালে খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। এর ছয় বছরের মাথায় শ্বশুর টম টমাসও মারা যান একইভাবে। এদের পর ২০১১ সালে মৃত্যু হয় স্বামী রয় টমাসের। তার ময়নাতদন্তে সায়ানাইডের উপস্থিতি ধরা পড়লেও তা নিয়ে আর এগোননি তদন্তকারীরা।

২০১৪ সালে আন্নামার ভাই ম্যাথিউ ভাগ্নের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। ওই বছরই একইভাবে তার মৃত্যু হয় বলে পিটিআইয়ের তথ্য।

২০১৪ সালেই মারা যায় রয় টমাসের চাচাত ভাই সারিয়া সাজুর ছোট মেয়ে আলফিন। এর দুই বছরের মাথায় সাজুর স্ত্রীরও একইভাবে মৃত্যু হয়। তখন সাজুকে বিয়ে করেন জলি। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, শ্বশুরবাড়ির অর্থ-সম্পদ নিজের দখলে নিতে একের পর এক হত্যাকা- চালিয়ে যান জলি।

তার ননদ রেনজি বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের টাকা-পয়সার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন তিনি। তার বাবা তাকে আদর্শ পুত্রবধূ মনে করতেন। আমিও জলিকে আমার বড় বোনের মতো দেখতাম। আমি তাকে পছন্দ করতাম। সে সবার সঙ্গে খুব আন্তরিক আচরণ করত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close