পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের জেরে শুরু হওয়া দুদেশের বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে দুদেশের প্রতিনিধিদের প্রথম দিনের আলোচনা শেষে ইতিবাচক অগ্রগতির আভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের খুব, খুব ভালো দর কষাকষি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হে’র সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।

দুদেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি চীনের ২৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী স্টিভেন ম্নুচিন ও বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজার চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হে ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রথম দিনের আলোচনার বিষয়ে লিউ হে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, বাণিজ্যিক ভারসাম্য, বাজারে প্রবেশযোগ্যতা ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করার আকাক্সক্ষা নিয়ে চীনা পক্ষ দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।

বৈঠকের বিষয়ে কর্মকর্তারা ইতিবাচক কথা বললেও অনেকেই তাতে আশাবাদী হতে পারছেন না। চীন সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আইনার তানজেন বলেন, ‘আমার মনে হয় বাণিজ্যিক যুদ্ধে সাময়িক বিরতি চাইছে চীন’। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেখানে বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। বেইজিংয়ের পরিকল্পনা হলো ওয়াশিংটনে তৈরি করা কোনো চীনা নীতি তারা মেনে নেবে না।

"