আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১০ অক্টোবর, ২০১৯

সৌদি যুবরাজ-ব্যবসায়ীদের সম্পদ আবারও বাজেয়াপ্ত

সৌদির বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং ব্যবসায়ীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। অ্যান ওল্ড ডিপ্লোমেট নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু নথি প্রকাশ করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং ব্যবসায়ীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদিতে ব্যবসায়ী এবং যুবরাজদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে বড় ধরনের অভিযানের পর এটা দ্বিতীয় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সেসময় সৌদির বেশ কয়েকজন যুবরাজকে রিটজ শার্লটন হোটেলে বন্দি করে রাখা হয় এবং তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে যে, রিয়াদের উত্তরে অবস্থিত যুবরাজ শেখ আজলান আল আজলানের বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা জমি বাজেয়াপ্ত করেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ওই জমি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন যুবরাজ শেখ আজলান আল আজলান। কিন্ত তাকে ওই সম্পদ বিক্রি থেকে বাধা দেওয়া হয় এবং পরে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

অপর এক টুইটবার্তায় বলা হয়েছে, যুবরাজ হামাদ বিন সাইদানের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রিয়াদ আল মুস্তাকবাল রিয়েল ইস্টেট, আবদুল রাহমান আল শেখ এবং মোহাম্মদ আল আইদানের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া ওলায়া রিয়েল ইস্টেট কোম্পানি, ইউনিস মোহাম্মদ আল আওয়াদ, ইব্রাহিম বিন সাইদান এবং ইব্রাহিম আল হারাবি নামের বেশ কয়েকটি রিয়েল ইস্টেট কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাদশাহ সালমানের ভাই প্রিন্স বদর বিন আবদুল আজিজের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে। ওই তালিকায় প্রিন্স মুসা, আদিল আল মুসা এবং সালেহ সুকাইরের নামও রয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি যুবরাজ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে অনেক যুবরাজের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাদের দীর্ঘদিন সৌদির বিখ্যাত রিটজ শার্লটন হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close