আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৫ অক্টোবর, ২০১৯

বিক্ষোভকারীদের আলোচনার আহ্বান জানালেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

টানা তিন দিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি। রাজধানী বাগদাদসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে এই বিক্ষোভে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক সংকটের অবসান ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনসঙ্গত দাবি মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চাকরির সংকট, নিম্নমানের সরকারি সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও সরকারি অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামেন এসব বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারন করেছে। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই দেশটির সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

বিক্ষোভ ঠেকাতে রাজধানী বাগদাদসহ বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশের বেশির ভাগ জায়গাতেই বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। তারপরও কারফিউ উপেক্ষা করে চলছে বিক্ষোভ।

গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন ইরাকি নাগরিক প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির কার্যালয় থেকে যোগাযোগের হটলাইন নম্বরসহ টেক্সট মেসেজ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই মেসেজে বলা হয়েছে ওই নম্বরে ফোন করে বিক্ষোভকারীরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারবে। নাগরিকদের কাছে এমন বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি বিবৃতি দিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েও বেকার থাকা ইরাকি তরুণ আলি বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ২২ বছর বয়সি এই তরুণ বলেন, আমার কাছে কিছুই নেই, পকেটে কেবল ২৫০ লিরা আছে কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের আছে লাখ লাখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close