ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জম্মুতে বাইক র‌্যালি করেছে দেশটির হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। দলটির যুব সংগঠন বজরং দলও এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ দিকে বিক্ষোভের জেরে উপত্যকায় নতুন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। গত রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে রাজ্যটিকে ভেঙে দুই ভাগ করার ঘটনায় কয়েক দিন বেশ থমথমে ছিল উপত্যকা। গত ৫ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের বেশির ভাগকেই কাশ্মীরের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ সেখানকার কারাগারগুলোতে বন্দি ধারণের আর কোনো জায়গা নেই। উপত্যকার রাস্তায় রাস্তায় নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য। নাগরিকদের সাধারণ চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে জম্মুর পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ফলে সেখানে সরকারি বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়। টেলিফোন থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে শুরু জম্মুর পাঁচ জেলার মানুষ। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের র‌্যালিকে কেন্দ্র করে গত রোববার ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন স্থানে বন্ধ করে দেওয়া টেলিফোন সংযোগও।

প্রশাসনের দাবি, যান্ত্রিক কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে জম্মুর বাসিন্দারা এনডিটিভিকে জানিয়ছেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির বাইক র‌্যালিকে কেন্দ্র করেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। তাদের ওই র‌্যালির জেরে মুসলিমরা যেন কোনো প্রতিক্রিয়া বা বিক্ষোভ দেখাতে না পারে সেজন্যই মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই ভাগ করে দেয় দিল্লি। ওই দিন থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা জাভেদের ভাষায়, ‘বাকি দেশ যখন ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছে তখন কাশ্মীরিরা খাঁচার প্রাণীর মতো বন্দি রয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছে মৌলিক মানবাধিকার থেকে।’

"