ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা চালানো হলে আগ্রাসী শক্তিকে ‘চূড়ান্ত, দাঁতভাঙা ও অনুশোচনা সৃষ্টিকারী’ জবাব দেওয়া হবে।

ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান দিয়ে ইরানে আগ্রাসন চালানোর হুমকি দেওয়ার পর জেনারেল হাতামি এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেন। তিনি নেতানিয়াহুর হুমকিকে একটি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে হুমকি ও বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষণার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দ্বীন ইসলামের শিক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘ ঘোষণার ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী তার দেশ আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুর যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া, তিনি কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিপন্নকারী বক্তব্যের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

নেতানিয়াহু সম্প্রতি আমেরিকায় তৈরি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান দিয়ে ইরানে হামলা চালানোর হুমকি দেন। তিনি দাবি করেন, ইরান ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানের আকাশে উড্ডয়ন করার ক্ষমতা এই জঙ্গিবিমানের রয়েছে।

নেতানিয়াহু এমন সময় এ হুমকি দিলেন যখন তেহরান গত মাসে আমেরিকায় তৈরি ‘গ্লোবাল হক’ মডেলের একটি অত্যাধুনিক ড্রোন ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের কিছুক্ষণে মধ্যেই গুলি করে ভূপাতিত করেছে। গ্লোবাল হক মডেলের ড্রোন এবং এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান একই ধরনের রাডার ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ইরান যেদিন মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে সেদিনও ড্রোনটি রাডার ফাঁকি দেওয়ার (স্টিলথ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইরানে অনুপ্রবেশ করেছিল। কিন্তু ওই প্রযুক্তি ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারেনি।

"