আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৫ জুন, ২০১৯

এস্তোনিয়ায় মাতৃত্বকালীন ছুটি ২০ মাস

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন নর্ডিক দেশগুলোর বাবা এবং মায়েরা। ২০১৬ সালে ইউরোপের ৩১টি দেশে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি এবং চাইল্ড কেয়ারের ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রে এস্তোনিয়ার পরপর প্রথম সারিতে আছে পর্তুগাল, জার্মানি, ডেনমার্ক, সেøাভেনিয়া, লুক্সেমবার্গ এবং ফ্রান্স। আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড রয়েছে তালিকার নিচের দিকে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, মস্তিষ্কের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরির করার জন্য শিশুদের জীবনের প্রাথমিক বছরগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কারণে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মের আগে ও পরের সময়টাতে সরকারের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

সন্তান জন্মের পর মা-বাবাদের কমপক্ষে ছয় মাসের ছুটি দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে ইউনিসেফের। একইসঙ্গে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আগ পর্যন্ত শিশুদের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা বলে আসছে তারা।

বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে এস্তোনিয়ার পরপর অবস্থান হাঙ্গেরির। সেখানে ৭২ সপ্তাহ ছুটি দেওয়া হয়। এরপরে অবস্থানে থাকা বুলগেরিয়ার মায়েরা ছুটি পেয়ে থাকেন ৬৫ সপ্তাহ। তালিকার নিচের দিকে থাকা যুক্তরাজ্যে ১২ সপ্তাহ এবং সুইজারল্যান্ডে আট সপ্তাহ ছুটি পেয়ে থাকেন মায়েরা। জার্মানিতে ৪৩ সপ্তাহ বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং ৫ দশমিক ৭ সপ্তাহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। দেশটির চাইল্ড কেয়ারে ভর্তির সুযোগ পায় তিন বছর বয়সি ৩৩ শতাংশ শিশু।

পর্তুগালে বাবাদের ১২ দশমিক ৫ সপ্তাহ, সুইডেনে ১০ দশমিক ৯ সপ্তাহ এবং লুক্সেমবার্গে ১০ দশমিক ৪ সপ্তাহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। চেক রিপাবলিক, সেøাভাকিয়া, আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস এবং সুইজারল্যান্ডে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতনসহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দিলে তা সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও বেড়ে উঠায় ভূমিকা রাখে। একইসঙ্গে তা মায়েদের বিষণœতা কমাতেও সাহায্য করে।

বেতনসহ পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়ার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। কারণ অনেকে আর্থিক চাপ অনুভব করার কারণে ছুটি নিতে চান না।

তিন বছর পর্যন্ত শিশুদের ৭০ শতাংশ চাইল্ড কেয়ার পেয়ে থাকে ডেনমার্কে। আইসল্যান্ডে এই সংখ্যা ৬৫ শতাংশ এবং নেদারল্যান্ডসে ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গ্রিসে এমন শিশুদের ৯ শতাংশ, চেক রিপাবলিকে ৫ শতাংশ এবং সেøাভাকিয়ায় ১ শতাংশ চাইল্ড কেয়ার সুবিধা পায়।

আইসল্যান্ড ও বেলজিয়ামে ৯৯ শতাংশ এবং সুইডেনে ৯৭ শতাংশ তিন বছর বয়সি শিশু চাইল্ড কেয়ার সুবিধা পায়। এই তালিকায় নিচের দিকে থাকা রোমানিয়ায় ৬১ শতাংশ, গ্রিসে ৫৬ শতাংশ এবং ৩১ শতাংশ শিশু এই সুবিধা পায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close