আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৮ জুন, ২০১৯

চার ট্যাংকারে হামলার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় চক্রান্ত’ বলছে আমিরাত

নিজস্ব উপকূলে চারটি ট্যাংকারের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো একটি রাষ্ট্রের হাত থাকতে পারে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দাবি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় চলমান তদন্তের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করতে গিয়ে এ দাবি করে তারা। তবে কোন দেশকে সন্দেহ করা হচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি তারা।

গত ১২ মে আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে চারটি বাডুজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, এর মধ্যে তাদের দুটি তেল ট্যাঙ্কার রয়েছে। সেগুলো ‘উল্লেখজনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া বিস্ফোরণের লক্ষ্যবস্তু হওয়া চারটি জাহাজের একটি নরওয়েজিয়ান পতাকাবাহী ও একটি আমিরাতের। এ বিস্ফোরণকে ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলা’ বলে উল্লেখ করে আমিরাত কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত দুই সৌদি ট্যাঙ্কারের মধ্যে একটির অপরিশোধিত তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানের ইন্ধনেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনায় তদন্তের দাবি জানায় তেহরান।

ট্যাঙ্কারে হামলার ঘটনায় সৌদি আরব ও নরওয়েকে সঙ্গে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বে যৌথ তদন্ত চলছে। ওই তদন্ত সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ের নথি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেছে আমিরাত কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এ হামলা চালানোর ক্ষেত্রে জাহাজে মাইন স্থাপনের জন্য দ্রুতগতির নৌকা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত ডুবুরির প্রয়োজন ছিল। পানির নিচ থেকে স্থাপিত ওই মাইন দিয়ে জাহাজকে অকার্যকর করে দেওয়া যায়, তবে এতে জাহাজ ডোবে না।

জাতিসংঘে উপস্থাপিত নথিতে আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও নরওয়ে বলেছে, ‘তদন্ত এখনো চলমান থাকলেও আলামত থেকে বোঝা গেছে অত্যাধুনিক ও সমন্বিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওই চারটি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান পরিচালনার মতো উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ এ হামলা চালিয়েছে। তা কোনো একটি রাষ্ট্রের কাজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close