আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৩ জুন, ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা : দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদনকারীদের এখন থেকে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মকা-ের তথ্যও জমা দিতে হবে। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করবেন, তাদের সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং গত পাঁচ বছর ধরে ব্যবহার করছেন এমন ই-মেইল, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও জমা দিতে হবে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর এই নিয়ম চালুর প্রস্তাব করার সময় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ হিসাব করে দেখেছিল, বছরে ১ কোটি ৪৭ লাখ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে। গত বছর যখন এই নিয়মের প্রস্তাব করা হয়, তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর হিসাব করে দেখেছিল যে এর ফলে ১ কোটি ৪৭ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করবে।

কূটনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করতে বা বেড়াতে যেতে চান, তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য দিতে হবে। বিবিসি লিখেছে, কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে তাকে অভিবাসন আইনে ‘কঠোর ব্যবস্থার’ মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র দফতর। তবে কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করেন, তাহলে তা উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে ভিসা আবেদন ফরমে। আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় ‘জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রিত’ এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেই কেবল ভিসার আবেদনে বাড়তি তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবসময়ই আমাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালের মার্চে ভিসা আবেদনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য দেওয়ার এই নতুন নিয়ম প্রস্তাব করে। মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন সে সময় বলেছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারির এমন নিয়ম যে কার্যকর বা ন্যায্য কিছু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং এ রকম নিয়ম হলে মানুষ অনলাইনে তাদের কর্মকা-ের ওপর সআরোপিত নিয়ন্ত্রণ চালাবে। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করে আনা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি কড়া নজরদারির ওপর জোর দিয়ে আসছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close