আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ মে, ২০১৯

কোথাও তৎপর, কোথাও গা-ছাড়া বাহিনী

গতকাল সোমবার আধাসেনার বিরুদ্ধে যে দুই নারী প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তারা তৃণমূলেরই। নিউটাউনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছেঁড়ায় গত রোববার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ।

এ দিন আধাসেনার বিরুদ্ধে যে দুই নারী প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তারা তৃণমূলেরই। দক্ষিণ কলকাতার মালা রায় এবং বারাসাতের কাকলি ঘোষদস্তিদার। নিজের কেন্দ্রে বাহিনীর ‘অতি সক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে কাকলি এ নিয়ে নিউটাউন থানায় ধর্নায় বসেন। অভিযোগ, তারই নির্বাচনী এলাকা কদমপুকুরে একটি বুথের কাছে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে রান্না হচ্ছিল। বেশকিছু লোক ছিলেন সেখানে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে ঢুকে রান্নার হাঁড়ি উল্টে দেয় এবং চেয়ার-টেবিল পুকুরে ফেলে দেয়। ব্যারাকপুরের কামারহাটিতেও তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেখানেও খাবার ফেলে দেওয়া হয়। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাকি শাসানিও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এ দিনের নির্বাচনে ঘুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সক্রিয়তার দুই বিপরীত ছবি উঠে এসেছে ক্যামেরায়। কোথাও তারা অতি সক্রিয়। কোথাও একেবারে গা-ছাড়া ভাব। দিনের শেষে বাহিনীর কার্যকলাপে কংগ্রেস ও বিজেপি খুশি হলেও খুশি নন বাম নেতানেত্রীরা। তৃণমূল তো তাদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অত্যাচার করেছে, তা আগে দেখিনি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এ দিন বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।

সপ্তম ও শেষ দফায় এসে নির্বাচন কমিশনের দুই পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবে এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয়টি লোকসভা কেন্দ্রে ঘোরেন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) ব্যবহার বদলে ফেলা হয়েছিল। তারপরও হিংসা আটকানো যায়নি। কমিশন সূত্রের খবর, সেজন্য কমিশনের নির্দেশ মেনে গত রোববার সড়কপথে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার ঘুরে বেড়ান দুই পর্যবক্ষক। কখনো বারাসতের অধীনে সল্টলেকের বিকে ব্লক, কখনো উত্তর কলকাতার হেয়ার স্কুল, কখনো আবার দক্ষিণ কলকাতার শ্রী শিক্ষায়তন স্কুলে গিয়ে তারা কথা বলেন সাধারণ ভোটার, ভোটকর্মী, রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের সঙ্গে। দমদম, যাদবপুর এবং ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকাও গাড়িতে ঘোরেন তারা। তবে ওই তিন জায়গায় তারা গাড়ি থেকে কোথাও নামেননি। দুপুরে কলকাতার গেস্ট হাউসে ফেরার পরে দুই পর্যবেক্ষক ব্যস্ত হয়ে পড়েন মূলত ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া এবং ক্যানিংয়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close