আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ মে, ২০১৯

অস্ট্রিয়ায় প্রাথমিক স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ

প্রাথমিক স্কুলে মুসলমান মেয়েদের হিজাব বা মাথায় যেকোনো ধরনের কাপড় পরা নিষিদ্ধ করে সম্প্রতি একটি আইন পাস করেছে অস্ট্রিয়া সরকার। তবে এ আইনকে বৈষম্যমূলক বিবেচনা করে দেশটির সাংবিধানিক আদালতে সেটি চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে। সংসদে দেশটির ক্ষমতাসীন মধ্য ডানপন্থি দল পিপলস পার্টি এবং উগ্র ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টির সদস্যরা বিলটির পক্ষে ভোট দেন। তবে বিরোধীদলের প্রায় সব সদস্য বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আইনটির লক্ষ্য শুধু মুসলমানরা নয় এমন ধারণা দিতে সেটিতে লেখা হয়েছে, ‘যেকোনো আদর্শগত বা ধর্মীয় প্রভাবান্বিত পোশাক, যা মাথা ঢেকে রাখার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়, তা নিষিদ্ধ।’ গত বুধবার রাতে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, শিখদের পাগড়ি বা ইহুদিদের টুপি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। কারণ এ আইনে এমন মাথার কাপড়ের কথা বলা হয়েছে, যেটি সব চুল বা মাথার অধিকাংশ অংশ ঢেকে রাখে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে কিংবা বৃষ্টি ও তুষারপাত থেকে বাঁচতে মাথা ঢেকে রাখা যাবে।

দেশটির ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে স্বীকার করেছেন যে, মূলত মুসলমান মেয়েদের জন্যই নতুন আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। পিপলস পার্টির আইনপ্রণেতা রুডল্ফ টাশনার বলেন, মেয়েদের নতি স্বীকার করা থেকে মুক্ত করতে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

ফ্রিডম পার্টির শিক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র ভেন্ডিল্যান মোলৎসার বলেন, নতুন এ আইনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সমাজের মূলধারায় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে সাবেক সামাজিক গণতন্ত্রী দলের শিক্ষামন্ত্রী সোনিয়া হামার্স্মিডথ অন্ট্রিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টিগ্রেশন বা শিক্ষাবিষয়ক প্রকৃত সমস্যা সমাধানের বদলে সংবাদ শিরোনামে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন।

অস্ট্রিয়ার আনুষ্ঠানিক মুসলিম কমিউনিটি অর্গানাইজেশন নতুন আইনটিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ এবং শুধু ‘মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে সেটির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close