আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ মে, ২০১৯

মমতার হুঙ্কার

মোদি-অমিতের নির্দেশেই ষড়যন্ত্র

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বাংলার গণতন্ত্রকে লুট করছে। পরিকল্পিত প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করব না। রাজ্যে প্রচার পর্ব ছাঁটার নির্দেশ আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা নির্বাচন কমিশনকে এভাবেই কড়া আক্রমণ করেন। তার মন্তব্য, এটা করে বিজেপিকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পুরস্কার দেওয়া হলো।

গত বুধবার রাত ৯টায় কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, এমন অসাংবিধানিক অনৈতিক ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন আগে কখনো দেখিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার কোনো রকম অবনতি হয়নি। ভোটের সময় যেটুকু গন্ডগোল হয়েছে তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে কমিশন বাংলায় এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করল বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। তার মন্তব্য, এভাবে কি কমিশন বিজেপিকে জেতাতে পারবে? এত অসম্মানিত কোনোদিনও হয়নি। সুবিচারের আশায় গণতন্ত্র আজ কাঁদছে। কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভোটের পরে

সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন বলে মমতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতাম। কিন্তু আপাতত জনাদেশের ওপর ভরসা রাখছি। মানুষই যোগ্য জবাব দেবে। ভোট মিটে গেলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবব।

এ দিনই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে দ্ইু পাতার কড়া চিঠি পাঠিয়ে তার ক্ষোভ লিখিতভাবে জানান মমতা। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে, এমন অভিযোগও তিনি ওই চিঠিতে সরাসরি উল্লেখ করেছেন। মমতা বলেন, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। কারণ, প্রার্থীদের নিজেদের কথা বলা এবং মানুষের সেসব কথার নির্ধারিত যে সময়সূচি রয়েছে, তা থেকে বঞ্চিত করা হলো। এটা কখনোই গণতন্ত্র সম্মত নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close