আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

কমিশনে অভিযোগ কংগ্রেসের

ভোট দিলেন তিনি, নাটক চলল দিনভর

নিজের রাজ্য গুজরাটে ভোট দেওয়ার সময়ও তার ব্যতিক্রম হলো না। গান্ধীনগরে ভোট দিতে গিয়ে মঙ্গলবার সারা দিনই একের পর এক নাটকীয় পরিস্থিতির জন্ম দিয়ে গেলেন মোদি। তিনি নরেন্দ্র মোদি কোনো কাজ করবেন আর তৈরি হবে না নাটক, এমন কথা জোর দিয়ে বলেন না তার ঘনিষ্ঠরাও।

গত মঙ্গলবার রাত কাটিয়েছেন গান্ধীনগরের রাজভবনে। গতকাল ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সেখান থেকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান মোদি। যাত্রাপথেও নাটক। সঙ্গে মাত্র একটি গাড়িতে এসপিজি নিরাপত্তা নিয়ে হীরাবেনের কাছে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। মায়ের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কাটিয়ে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তায় মেতে যান মোদি। এমনকি সেখানে শিশুদের সঙ্গে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায় তাকে। এভাবে কিছুক্ষণ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন রানিপ এলাকার নিশান হাইস্কুলে ভোট দিতে পৌঁছান, তখন তিনি খোলা জিপে। তাকে দেখে রাস্তার দুই পাশে হাত নাড়ছেন সমর্থকেরা। জনতাকে দেখে হাত নাড়ান প্রধানমন্ত্রীও। বুথে ঢোকার আগে তখন তার অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, গোটা পরিবারকে নিয়ে। আচমকাই অমিতের নাতনিকে কোলে তুলে নেন মোদি। অন্য হাতে তখন ভিকট্রি চিহ্ন। সমর্থকেরা চিৎকার করতে শুরু করেছেন, মোদি, মোদি! ভোটের লাইনে গিয়ে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী।

মোদি বুথে ঢুকে যাওয়ার পরেও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস যেন থামতেই চায় না! বুথের ভেতরেও প্রধানমন্ত্রীর ভোটদান ঘিরে সংবাদ মাধ্যমের হুড়োহুড়ি। কিছুক্ষণ পরে অমিতকে নিয়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এক মুখ হাসি। ভোটের কালি মাখানো আঙুল ক্যামেরার দিকে। ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়নি। বুথ থেকে বেরিয়ে বেশ কিছুটা পথ হেঁটে যান মোদি। রাস্তার ধারে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়াতে থাকেন। গোটা ছবিটা যেন একটা রোডশো। বুথের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেও টেনে আনেন সন্ত্রাস প্রসঙ্গ। মোদির মন্তব্য, জঙ্গিদের অস্ত্র হলো আইইডি। আর গণতন্ত্রের অস্ত্র, ভোটার আইডি। আমার বিশ্বাস, ভোটার আইডির শক্তি আইইডির থেকে অনেক বেশি। মানুষ যাতে আরো বেশি সংখ্যায় ভোট দিতে বেরিয়ে আসে, সেই আহ্বান জানান তিনি।

ব্যাপারটা হজম হয়নি কংগ্রেসের। বিকেলেই অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, জয়রাম রমেশের মতো নেতারা পৌঁছে যান নির্বাচন কমিশনে। ভোট দেওয়ার পরে মোদির রোডশো আর সংবাদ মাধ্যমে তার মন্তব্য নিয়ে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ আনেন। সিঙ্ঘভি বলেন, আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হলো। ভোট দেওয়ার পরে রোডশো করেছেন মোদি। রাজনৈতিক বক্তব্যও শুনিয়েছেন। এসব করে ভোটের আচরণবিধি ভেঙেছেন তিনি। কমিশনকে বলেছি, শাস্তি হিসেবে মোদির ৭২ ঘণ্টা প্রচার বন্ধ হোক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close