আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৩ এপ্রিল, ২০১৯

শ্রীলঙ্কার মসজিদে এবার পেট্রলবোমা হামলা

শ্রীলঙ্কার পুত্তালুম জেলায় গত রোববার রাতে অন্তত একটি মসজিদে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া বান্দারাগামা এলাকায় মুসলিম মালিকানাধীন দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এজেন্সিয়া ইএফই।

গত রোববার দিনের বেলায় কলম্বোর গির্জা ও পাঁচ তারকা হোটেলসহ আটটি স্থানে সিরিজ বিস্ফোরণের পর রাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন মুসলিমরা। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা।

২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো গত রোববারের হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।

শ্রীলঙ্কা সরকার এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে গত রোববারের সিরিজ বিস্ফোরণের জন্য কাউকে দায়ী করেনি। তবে এরই মধ্যে ন্যাশনাল তাওহিদ জামাতের একজন নেতাকে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইসরায়েলভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, এ মাসের গোড়ার দিকে তিনি কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

গত রোববারের হামলার পরপরই শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার ঘোষণা দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, কলম্বোয় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের অঞ্চলে এমন বর্বরতার কোনো স্থান নেই।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় গত রোববারের ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৫০০ জন। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close