আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভোটের নয়, আজ তিনি প্রার্থী শুধুই ভালোবাসার
সরাসরি রাজনীতি তাদের জগৎ নয়। তবু একসময়ে লড়েছিলেন ভোটের ময়দানে। সেখান থেকে আজ তারা অনেকটাই দূরে। এবারের ভোট নিয়ে কী বলছেন? তার নিজের জীবন বলতে হিন্দিতে দিলীপ কুমার, দেবানন্দ থেকে বরুণ ধাওয়ান, রনবীর সিং। আর বাংলায় উত্তম কুমার থেকে দেব। তিনি নিজে এমনটাই বিশ্বাস করেন।
তবু একসময়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে ছক্কা হাঁকাতে পারেননি বলিউডের ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ী। বরং এখন তিনি মনে করেন, ‘রাজনীতি রিটায়ার্ড লোকেদের জন্য। যাদের জীবনে অনেক কাজ আছে, তারা রাজনীতিতে আসেন না।’
বৈশাখের এক দুপুরে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এমনই সহাস্য মন্তব্য করলেন ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘নমক হালাল’, ‘সরাবি’সহ বহু সুপারহিট সিনেমার সংগীত পরিচালক। পাঁচ বছর আগে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি’র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে গর্ব অনুভব করেন। আর তাই মুম্বাইয়ে বসেই নতুন বঙ্গাব্দের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বললেন, ‘সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এবার একটা বাংলা গান গেয়েছি।’ পরক্ষণেই অবশ্য ফিরে এলেন রাজনীতির প্রসঙ্গে। বললেন, ‘রাজনীতিটা করতে গেলে তো রাজনীতিতে থাকতে হয়। আমার তো সেই সময়টাই নেই। পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াতে হয়।’
কিন্তু তাও তো রাজনীতিতে এসেছিলেন, ভোটেও লড়েছিলেন। কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা অপর প্রান্তে। তার পরেই ‘তু নে মারি এন্ট্রিয়া’ গানের গায়ক হেসে বললেন, ‘দেখলাম, একবার দাঁড়িয়ে। রাজনীতিটা কী, সেটা জানলাম। তবে আমি ওখানে খাপ খাই না। যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের জন্য বরং রাজনীতিটা ভালো। তারাই সেটা করতে পারেন।’
লোকে যে বলে, অনেক আগে থেকেই তিনি কংগ্রেসের সমর্থক...। কথা শেষ হওয়ার আগেই বাপ্পির দাবি, ‘সেটা লোকে বলে। তবে এটা ঠিক যে, কংগ্রেসে আমার ভালো জানাশোনা ছিল। ইন্দিরা গান্ধীও আমাকে স্নেহ করতেন।’ তাহলে বিজেপিতে এলেন কিভাবে? বাপ্পি নিজেই জানালেন তার নেপথ্য কাহিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তাকে খুব ভালোবাসতেন।
"